সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবিভক্ত বাংলার সাবেক এমপি ও মন্ত্রী আহম্মদ হোসেন উকিলের আজ ৬০তম মৃত্যু বার্ষিকী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৫৭:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মে ২০২১
  • ৩৯৪ Time View

গাইবান্ধার কৃতি সন্তান অবভিক্ত বাংলার সাবেক এম পি ও মন্ত্রী আলহাজ্ব আহম্মদ হোসেন উকিল

স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধার কৃতি সন্তান অবিভক্ত বাংলার সাবেক এমপি ও মন্ত্রী আলহাজ্ব আহম্মদ হোসেন উকিলের আজ ৬০তম মৃত্যু বার্ষিকী। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত বিশ্বিস্ত-শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি ছিলেন। অবভিক্ত বাংলা সোহরাওয়ার্দীর মন্ত্রী সভার সাবেক কৃষিমন্ত্রী ছিলেন আলহাজ্ব আহমদ হোসেন উকিল । ১৯ মে ১৯৬১ সালে মৃত্যুবরণ করনে তিনি। দুই বার মন্ত্রী ও টানা ৮ বার এমপি থাকার সুবাদে নিঃর্স্বাথভাবে এবং অকাতরে হাজার হাজার মানুষের কল্যাণে প্রশংসনীয় কাজ করেছেনে। অবিভক্ত বাংলার সাবেক কৃষিমন্ত্রী গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজলোর জালালতাইড় গ্রামের কৃতি সন্তান। তাঁর ছেলে মো. আবু তাহের একজন সাদা মনের মানুষ। তিনি গোবিন্দগঞ্জ মহিলা কলেজের প্রভাষক হলেও সাবেক মন্ত্রীর পরিবারের দাবি সরকারি ভাবে তার বাবার মৃত্যু বাঁষিকী পালন করা হতো। কিন্তু এখন আর হয় না।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী আলহাজ্ব আহমদ হোসেন পেশায় একজন উকিল ছিলেন। তিনি গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে রংপুর সুগার মিলস, মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসা, গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ, গাইবান্ধা কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টটিউিট(সাবেক ভিএইড)সহ আরও অসংখ্য প্রতিষ্ঠান তার প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে। যা এখন কালের সাক্ষি হয়ে দাড়িয়ে আছে। তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানা গড়ে তুললেও তাঁর ছেলে মেয়েকে সেখানে কোন চাকুরী দেন নাই। তিনি নিজের হাতে দিয়েছেন হাজার হাজার ছেলে মেয়েকে চাকুরি। তিনি নিস্বার্থ, নির্লোভ ও পরোপকারী ব্যাক্তি ছিলেন। তিনি রংপুর সুগার মিল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করে ছিলেন। তা কিছু মানুষের সার্থের কারণে আজ বিলিন হবার পথে। চাকুরীর উপযুক্ত সন্তান থাকার পরও তিনি এখানে তাঁর কোন সন্তানকে চাকুরী দেননি। সে জায়গায় অন্য একজন গরীব মানুষকে চাকুরী করার সুযোগ দিয়েছেন।
তাঁর মৃত্যুর পর দেখা যায়, তিনি তাঁর এতিম সন্তানদের জন্য তেমন কিছু রেখে যাননি। একজন মন্ত্রী হয়ে তিনি অতি সাধারণ জীবন যাপন করছেন। একদম সাদামাটা। আজকের এই দিনে তিনি পৃথিবী থেকে চিরদিনের জন্য চলে গেছেন। তাঁর মৃত্যু দিবসে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার।-তথ্য সূত্র পারিবারিক।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক পাচ্ছেন ২ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান

অবিভক্ত বাংলার সাবেক এমপি ও মন্ত্রী আহম্মদ হোসেন উকিলের আজ ৬০তম মৃত্যু বার্ষিকী

Update Time : ০৯:৫৭:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মে ২০২১
স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধার কৃতি সন্তান অবিভক্ত বাংলার সাবেক এমপি ও মন্ত্রী আলহাজ্ব আহম্মদ হোসেন উকিলের আজ ৬০তম মৃত্যু বার্ষিকী। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত বিশ্বিস্ত-শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি ছিলেন। অবভিক্ত বাংলা সোহরাওয়ার্দীর মন্ত্রী সভার সাবেক কৃষিমন্ত্রী ছিলেন আলহাজ্ব আহমদ হোসেন উকিল । ১৯ মে ১৯৬১ সালে মৃত্যুবরণ করনে তিনি। দুই বার মন্ত্রী ও টানা ৮ বার এমপি থাকার সুবাদে নিঃর্স্বাথভাবে এবং অকাতরে হাজার হাজার মানুষের কল্যাণে প্রশংসনীয় কাজ করেছেনে। অবিভক্ত বাংলার সাবেক কৃষিমন্ত্রী গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজলোর জালালতাইড় গ্রামের কৃতি সন্তান। তাঁর ছেলে মো. আবু তাহের একজন সাদা মনের মানুষ। তিনি গোবিন্দগঞ্জ মহিলা কলেজের প্রভাষক হলেও সাবেক মন্ত্রীর পরিবারের দাবি সরকারি ভাবে তার বাবার মৃত্যু বাঁষিকী পালন করা হতো। কিন্তু এখন আর হয় না।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী আলহাজ্ব আহমদ হোসেন পেশায় একজন উকিল ছিলেন। তিনি গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে রংপুর সুগার মিলস, মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসা, গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ, গাইবান্ধা কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টটিউিট(সাবেক ভিএইড)সহ আরও অসংখ্য প্রতিষ্ঠান তার প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে। যা এখন কালের সাক্ষি হয়ে দাড়িয়ে আছে। তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানা গড়ে তুললেও তাঁর ছেলে মেয়েকে সেখানে কোন চাকুরী দেন নাই। তিনি নিজের হাতে দিয়েছেন হাজার হাজার ছেলে মেয়েকে চাকুরি। তিনি নিস্বার্থ, নির্লোভ ও পরোপকারী ব্যাক্তি ছিলেন। তিনি রংপুর সুগার মিল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করে ছিলেন। তা কিছু মানুষের সার্থের কারণে আজ বিলিন হবার পথে। চাকুরীর উপযুক্ত সন্তান থাকার পরও তিনি এখানে তাঁর কোন সন্তানকে চাকুরী দেননি। সে জায়গায় অন্য একজন গরীব মানুষকে চাকুরী করার সুযোগ দিয়েছেন।
তাঁর মৃত্যুর পর দেখা যায়, তিনি তাঁর এতিম সন্তানদের জন্য তেমন কিছু রেখে যাননি। একজন মন্ত্রী হয়ে তিনি অতি সাধারণ জীবন যাপন করছেন। একদম সাদামাটা। আজকের এই দিনে তিনি পৃথিবী থেকে চিরদিনের জন্য চলে গেছেন। তাঁর মৃত্যু দিবসে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার।-তথ্য সূত্র পারিবারিক।