বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোবিন্দগঞ্জে ৩১৬ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার, পিকাপসহ আটক দুই

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১
  • ২২০ Time View

মিষ্টি কুমড়ার সাথে পাচারের সময় উদ্ধারকৃত ফেনসিডিল

গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মিষ্টি কুমড়া বোঝাই পিকাপ থেকে ৩১৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার ভোর রাতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ সড়কের শিবপুর ইউনিয়নের শোলাগাড়ী নামক স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।

জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই শফিক, মোবারক, আরিফ, এএসআই মমিনুল ও মুশফিকদের সমন্বয়ে একটি টিম মহিমাগঞ্জ এলাকায় ওয়ারেন্ট তামিল করছিলো। মিস্টি কুমড়াবাহী দিনাজপুর হতে মহিমাগঞ্জ হয়ে ঢাকাগামী পিকাপে করে ফেনসিডিলের চালান যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শোলাগাড়ী নামক স্থানে ওই পুলিশ দলটি অবস্থান নেয়। মিস্টি কুমড়াবাহী পিকাপটি(দিনাজপুর-ন-১১-০৩৫৮)

এখাবেই মিষ্টি কুমড়ার বস্তার নীচ থেকে ফেনিসিডিলের বস্তা বের করা হয়

ভোর রাতে সেখানে পৌছিলে পুলিশ পিকআপটি আটকায়। এ ক্ষেত্রে মাদক ব্যবসায়ীরা পিকাপের নম্বর পরিবর্তন করে দিনাজপুর ন ১১-১৩৬০ ব্যবহার করে।

পুলিশ পিকআপটি তল্যাশি করতেই পিকাপের ডালায় থাকা কুমড়ার বস্তার ভিতর আর একটি বস্তায় ফেনসিডিলের সন্ধান পায়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়দের সামনেই বস্তা খুলে ফেন্সিডিলগুলো গণনা করা হয়। এতে তিনটি বস্তা থেকে বিশেষ কায়দায় লুকানো ৩১৬ বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া যায়। এসময় গাড়ি চালক দিনাজপুর জেলার রামনগর কোতোয়ালি থানা এলাকার মৃত সাহাবুল মিয়ার ছেলে শামীম (২৮) ও মৃত রফিকুল ইসলাম রতনের ছেলে রশিদ রাজবীর(২১) কে পিকাপসহ আটক করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। এর কিছু আগেই পিকাপে থাকা অপর আসামি নুর আলম নামের একজন গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় নেমে যায়।

এই সেই পিকাপ। যার নম্বর প্লেট পাল্টিয়ে মিষ্টি কুমড়ার সাথে ফেনসিডিল পাচার করা হচ্ছিল

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) একেএম মেহেদী হাসান বলেন, পলাতক নুর আলমসহ আটক দুইজন সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামি শামীমের বিরুদ্ধে দিনাজপুর ও বগুড়া আদালতে ২টি এবং পলাতক আসামি নুর আলমের বিরুদ্ধে দিনাজপুর আদালতে ১টি মামলা বিচারাধীন আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

গোবিন্দগঞ্জে ৩১৬ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার, পিকাপসহ আটক দুই

Update Time : ০৮:৩৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১

গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মিষ্টি কুমড়া বোঝাই পিকাপ থেকে ৩১৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার ভোর রাতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ সড়কের শিবপুর ইউনিয়নের শোলাগাড়ী নামক স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।

জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই শফিক, মোবারক, আরিফ, এএসআই মমিনুল ও মুশফিকদের সমন্বয়ে একটি টিম মহিমাগঞ্জ এলাকায় ওয়ারেন্ট তামিল করছিলো। মিস্টি কুমড়াবাহী দিনাজপুর হতে মহিমাগঞ্জ হয়ে ঢাকাগামী পিকাপে করে ফেনসিডিলের চালান যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শোলাগাড়ী নামক স্থানে ওই পুলিশ দলটি অবস্থান নেয়। মিস্টি কুমড়াবাহী পিকাপটি(দিনাজপুর-ন-১১-০৩৫৮)

এখাবেই মিষ্টি কুমড়ার বস্তার নীচ থেকে ফেনিসিডিলের বস্তা বের করা হয়

ভোর রাতে সেখানে পৌছিলে পুলিশ পিকআপটি আটকায়। এ ক্ষেত্রে মাদক ব্যবসায়ীরা পিকাপের নম্বর পরিবর্তন করে দিনাজপুর ন ১১-১৩৬০ ব্যবহার করে।

পুলিশ পিকআপটি তল্যাশি করতেই পিকাপের ডালায় থাকা কুমড়ার বস্তার ভিতর আর একটি বস্তায় ফেনসিডিলের সন্ধান পায়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়দের সামনেই বস্তা খুলে ফেন্সিডিলগুলো গণনা করা হয়। এতে তিনটি বস্তা থেকে বিশেষ কায়দায় লুকানো ৩১৬ বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া যায়। এসময় গাড়ি চালক দিনাজপুর জেলার রামনগর কোতোয়ালি থানা এলাকার মৃত সাহাবুল মিয়ার ছেলে শামীম (২৮) ও মৃত রফিকুল ইসলাম রতনের ছেলে রশিদ রাজবীর(২১) কে পিকাপসহ আটক করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। এর কিছু আগেই পিকাপে থাকা অপর আসামি নুর আলম নামের একজন গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় নেমে যায়।

এই সেই পিকাপ। যার নম্বর প্লেট পাল্টিয়ে মিষ্টি কুমড়ার সাথে ফেনসিডিল পাচার করা হচ্ছিল

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) একেএম মেহেদী হাসান বলেন, পলাতক নুর আলমসহ আটক দুইজন সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামি শামীমের বিরুদ্ধে দিনাজপুর ও বগুড়া আদালতে ২টি এবং পলাতক আসামি নুর আলমের বিরুদ্ধে দিনাজপুর আদালতে ১টি মামলা বিচারাধীন আছে।