
খোজঁ খবর ডেস্ক: মহামারি করোনা কিছুতেই সামাল দিতে পারছে না ভারত। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মারা যাচ্ছেন শত শত মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৮৩৯ জন মারা গেছেন করোনাভাইরাসে। দৈনিক মৃত্যুর হিসাবে গত ছয় মাসের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় পরিসংখ্যান। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রোববার এ তথ্য দিয়েছেন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
খবরে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৭৯ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে মারা গেছেন ৮৩৯ জন। যা গত ১৬ অক্টোবরের পর দেশটিতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর রেকর্ড।
আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৯০ হাজার ৫৮৪ জন। এই সময়ে ১৪ লাখ ১২ হাজার ৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২৫ কোটি ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৮৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
দৈনিক সংক্রমণ ১ লাখ পার হওয়ার ৫ম দিন অতিক্রম করল ভারত। আজকের পরিসংখ্যান গতকালের চেয়ে ৫ শতাংশ সংক্রমণ বাড়ার তথ্য দিল। শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল দেশটিতে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৪ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে দেশটিতে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার ৮০৫ জন করোনা আক্রান্ত হলেন। মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০৫ জনে। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ২০ লাখ ৮১ হাজার ৪৪৩ জন। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৭। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ৮ হাজার ৯৪৪ জন।
ভারতে করোনা সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, কর্নাটক এবং কেরালা। দেশটির মোট সংক্রমণের ৭২ দশমিক ২৩ ভাগই এই পাঁচ রাজ্যের।
এদিকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারতে আজ থেকে টিকা উৎসব শুরু হয়েছে। চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবাইকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় ভারতের অবস্থান তৃতীয়।
সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বেশ কয়েকটি রাজ্যে কারফিউ জারি করেছে সরকার। শনিবার নতুন বিধি-নিষেধ জারি করেছে দিল্লি সরকার। সেখানে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। এছাড়া রেস্টুরেন্ট, থিয়েটার, গণপরিবহন, বিয়ে এবং শেষকৃত্যের মতো অনুষ্ঠানে লোকজনের অংশগ্রহণে সীমাবদ্ধতা আনা হয়েছে।
ওয়াল্ডওমিটারসের তথ্যানুয়ায়, রোববার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৩৩ হাজার ৩০৩ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ লাখ ৩৯ হাজার ৪৭২ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১০ কোটি ৯৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৭ জন।