শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে ভ্রাম্যমান আদালতের প্রতিবাদে এক ঘন্টা সড়ক অবরোধ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৫৪:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১
  • ২০৪ Time View

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে লকডাউন অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় পঞ্চগড় বাজারের আলহাজ্ব ক্লথ স্টোরে জরিমানা করতে চাইলে ও দোকানের কর্মচারীদের কয়েকজন মাস্ক না পরায় সর্তক করায় পঞ্চগড় সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম। এসময় ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে তর্কে জরিয়ে পড়ে দোকানের কর্মচারীরা। পরে বস্ত্র ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপর চড়াও হয়।  পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হন তিনি।

এই ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যেই লকডাউনে দোকান খোলা রাখার দাবিতে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় প্রায় এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। এসময় দোকান মালিক ও কর্মচারীরা মহাসড়ক সহ করতোয়া সেতুর উত্তর প্রান্তে বাঁশ ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয় পঞ্চগড় বস্ত্র মালিক সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম খান ও সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান আলহাজ্ব সহ সমিতির নেতারা। বিক্ষোভকারীরা মহাসড়কে বাশঁ খড়ি দিয়ে আগুন জ¦ালিয়ে মিছিল করতে থাকে। এ সময় সড়কের দুই প্রান্তে কয়েক’শ যানবাহন আটকা পড়ে। এসময় চরম দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও পঞ্চগড়ে সব চলছে স্বাভাবিক নিয়মে। বালু পাথর পরিবহণ সহ বিভিন্ন যানবাহন চলছে। সেখানে কেউ কোন প্রতিবাদ করছে না। এমনকি তাদের জরিমানাও করা হচ্ছে না। কিন্তু কেবল কাপড়ের দোকান খোলা থাকায় জরিমানা করতে আসছে প্রশাসনের লোকজন। করোনার শুরু থেকেই লোকসানের মধ্যে রয়েছে বস্ত্র মালিকরা। আবারো দোকান বন্ধ রাখতে হলে বড় আকারের লোকসানে পড়বেন বলে অভিযোগ করেন তারা। এছাড়া বেকার হয়ে পড়বে শত শত কর্মচারী। তাই তারা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।

পঞ্চগড় বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির শহিদুল ইসলাম খান বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে আমাদের এক দোকান মালিকের বাগবিতন্ডা হয়েছে। এ ঘটনায় পরে আমাদের নামে যেন মামলা না হয় আমরা সেই চেষ্টা করছিলাম। সবাই একসাথে সড়কে থাকার কারণে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বহিরাগত কিছু লোকজন অবরোধ করে। বস্ত্র মালিক ও কর্মচারীরা এর মধ্যে জড়িত ছিলো না।

পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, ব্যবসায়ীদের সাথে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা দোকান খোলা রাখার দাবি করছিল। এটা কেবিনেটের সিদ্ধান্ত। তাই আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা রাখি না। তারপরও আমরা তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ না করে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলার জন্য বলেছি। পরে তারা বিক্ষোভ তুলে নিয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

তেঁতুলিয়ায় ক্ল ুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন, বীরগঞ্জ থেকে আসামি আটক

পঞ্চগড়ে ভ্রাম্যমান আদালতের প্রতিবাদে এক ঘন্টা সড়ক অবরোধ

Update Time : ০৫:৫৪:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে লকডাউন অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় পঞ্চগড় বাজারের আলহাজ্ব ক্লথ স্টোরে জরিমানা করতে চাইলে ও দোকানের কর্মচারীদের কয়েকজন মাস্ক না পরায় সর্তক করায় পঞ্চগড় সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম। এসময় ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে তর্কে জরিয়ে পড়ে দোকানের কর্মচারীরা। পরে বস্ত্র ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপর চড়াও হয়।  পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হন তিনি।

এই ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যেই লকডাউনে দোকান খোলা রাখার দাবিতে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় প্রায় এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। এসময় দোকান মালিক ও কর্মচারীরা মহাসড়ক সহ করতোয়া সেতুর উত্তর প্রান্তে বাঁশ ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয় পঞ্চগড় বস্ত্র মালিক সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম খান ও সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান আলহাজ্ব সহ সমিতির নেতারা। বিক্ষোভকারীরা মহাসড়কে বাশঁ খড়ি দিয়ে আগুন জ¦ালিয়ে মিছিল করতে থাকে। এ সময় সড়কের দুই প্রান্তে কয়েক’শ যানবাহন আটকা পড়ে। এসময় চরম দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও পঞ্চগড়ে সব চলছে স্বাভাবিক নিয়মে। বালু পাথর পরিবহণ সহ বিভিন্ন যানবাহন চলছে। সেখানে কেউ কোন প্রতিবাদ করছে না। এমনকি তাদের জরিমানাও করা হচ্ছে না। কিন্তু কেবল কাপড়ের দোকান খোলা থাকায় জরিমানা করতে আসছে প্রশাসনের লোকজন। করোনার শুরু থেকেই লোকসানের মধ্যে রয়েছে বস্ত্র মালিকরা। আবারো দোকান বন্ধ রাখতে হলে বড় আকারের লোকসানে পড়বেন বলে অভিযোগ করেন তারা। এছাড়া বেকার হয়ে পড়বে শত শত কর্মচারী। তাই তারা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।

পঞ্চগড় বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির শহিদুল ইসলাম খান বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে আমাদের এক দোকান মালিকের বাগবিতন্ডা হয়েছে। এ ঘটনায় পরে আমাদের নামে যেন মামলা না হয় আমরা সেই চেষ্টা করছিলাম। সবাই একসাথে সড়কে থাকার কারণে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বহিরাগত কিছু লোকজন অবরোধ করে। বস্ত্র মালিক ও কর্মচারীরা এর মধ্যে জড়িত ছিলো না।

পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, ব্যবসায়ীদের সাথে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা দোকান খোলা রাখার দাবি করছিল। এটা কেবিনেটের সিদ্ধান্ত। তাই আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা রাখি না। তারপরও আমরা তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ না করে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলার জন্য বলেছি। পরে তারা বিক্ষোভ তুলে নিয়েছে।