বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় বৃষ্টিহীন কালবৈশাখীর ঝড়ে নিহত ৮

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১
  • ৬৬৩ Time View

 

খোঁজ খবর রিপোর্টঃ বৃষ্টিহীন কালবৈশাখীর ঝড়ো হাওয়ার তান্ডবে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঝড়ে গাছপালা, ঘরবাড়ি, দোকানপাটের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাইবান্ধার এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. ফয়েজ উদ্দিন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ চাপা পড়ে ও অটো রিকসা উল্টে ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন। তাদের গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সড়কের গাছের ডালপালা অপসারণের কাজ করছেন।

গাছ চাপা পড়ে ও গাছের ডাল ভেঙে পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ডাকেরপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০), মোস্তফাপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে গফফার মিয়া (৪২) ও মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমেদপুর গ্রামের মমতা বেগম(৫৫), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের দোয়ারা গ্রামে মৃত সোলেমান মিয়ার স্ত্রী ময়না বেগম (৬০), ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী গ্রামের পিটুল মিয়ার স্ত্রী শিশুলী বেগম (২৫) মারা গেছেন। এছাড়া ঝড়ের সময় ফুলছড়ি উপজেলার মদনেরপাড়া এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটো উল্টে ফুলছড়ি উপজেলার এড়েন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ডাকাতিয়ার চর গ্রামের চালক হাফেজ উদ্দিন(৪৪), সদর উপজেলার বাদিয়াখালীর শেফালী বেগম(৬৫) ও মালিবাড়ী ইউনিয়নে অপর একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে তার নাম জানা যায়নি।
দুপুর ২টার পর থেকে গাইবান্ধার উত্তর পশ্চিমাকাশে কালো মেঘের সাথে ঝড় হাওয়া শুরু হয়। থেমে থেমে প্রায় এক ঘন্টা বৃষ্টি বিহীন এই ঝড়ো হাওয়ায় জেলার পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলা ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গাছপালা ভেঙে যায় ও ফসলের বেশ ক্ষতি হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন ঝড়ে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেবার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনকে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঝড়ের কারণে গাছপালা ভেঙে এখন পর্যন্ত চার উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ নেসকো-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জানান গাইবান্ধায় হটাৎ করে বৃষ্টিবিহীন কালবৈশাখীর ঝড়ে গাইবান্ধায় বৈদ্যুতিক খুটি উপড়ে ও তার ছিড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের কয়েকটি টিম কাজ করছে। তবে কখন বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হবে তা এখনি বলা যাচ্ছেনা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

গাইবান্ধায় ঘাঘট তীরে মুক্তমঞ্চ ‘মানব বন্ধন‘ এর উদ্বোধন

গাইবান্ধায় বৃষ্টিহীন কালবৈশাখীর ঝড়ে নিহত ৮

Update Time : ০৯:৩৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১

 

খোঁজ খবর রিপোর্টঃ বৃষ্টিহীন কালবৈশাখীর ঝড়ো হাওয়ার তান্ডবে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঝড়ে গাছপালা, ঘরবাড়ি, দোকানপাটের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাইবান্ধার এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. ফয়েজ উদ্দিন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ চাপা পড়ে ও অটো রিকসা উল্টে ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন। তাদের গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সড়কের গাছের ডালপালা অপসারণের কাজ করছেন।

গাছ চাপা পড়ে ও গাছের ডাল ভেঙে পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ডাকেরপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০), মোস্তফাপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে গফফার মিয়া (৪২) ও মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমেদপুর গ্রামের মমতা বেগম(৫৫), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের দোয়ারা গ্রামে মৃত সোলেমান মিয়ার স্ত্রী ময়না বেগম (৬০), ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী গ্রামের পিটুল মিয়ার স্ত্রী শিশুলী বেগম (২৫) মারা গেছেন। এছাড়া ঝড়ের সময় ফুলছড়ি উপজেলার মদনেরপাড়া এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটো উল্টে ফুলছড়ি উপজেলার এড়েন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ডাকাতিয়ার চর গ্রামের চালক হাফেজ উদ্দিন(৪৪), সদর উপজেলার বাদিয়াখালীর শেফালী বেগম(৬৫) ও মালিবাড়ী ইউনিয়নে অপর একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে তার নাম জানা যায়নি।
দুপুর ২টার পর থেকে গাইবান্ধার উত্তর পশ্চিমাকাশে কালো মেঘের সাথে ঝড় হাওয়া শুরু হয়। থেমে থেমে প্রায় এক ঘন্টা বৃষ্টি বিহীন এই ঝড়ো হাওয়ায় জেলার পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলা ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গাছপালা ভেঙে যায় ও ফসলের বেশ ক্ষতি হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন ঝড়ে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেবার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনকে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঝড়ের কারণে গাছপালা ভেঙে এখন পর্যন্ত চার উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ নেসকো-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জানান গাইবান্ধায় হটাৎ করে বৃষ্টিবিহীন কালবৈশাখীর ঝড়ে গাইবান্ধায় বৈদ্যুতিক খুটি উপড়ে ও তার ছিড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের কয়েকটি টিম কাজ করছে। তবে কখন বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হবে তা এখনি বলা যাচ্ছেনা।