খোঁজ খবর রিপোর্টঃ বৃষ্টিহীন কালবৈশাখীর ঝড়ো হাওয়ার তান্ডবে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঝড়ে গাছপালা, ঘরবাড়ি, দোকানপাটের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ চাপা পড়ে ও অটো রিকসা উল্টে ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। তাদের গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সড়কের গাছের ডালপালা অপসারণের কাজ করছেন।
গাছ চাপা ও গাছের ডাল ভেঙে পড়ে পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের মোস্তাফুর গ্রামের গোফফার রহমান(৫৫) এবং ডাকেরপাড়া গ্রামের জাহানারা বেগম(৫০), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের দোয়ারা গ্রামে ময়না বেগম (৬০), ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারীতে পিটুল মিয়ার স্ত্রী শিশুলী বেগম (২৫) মারা গেছেন। এছাড়া ঝড়ের সময় ফুলছড়ি উপজেলার মদনেরপাড়া এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটো উল্টে অটো চালক হাফেজ উদ্দিন(৪৪) নামে আরও এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি ফুলছড়ি উপজেলার এড়েন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ডাকাতিয়ার চর গ্রামে।
দুপুর ২টার পর থেকে গাইবান্ধার উত্তর পশ্চিমাকাশে কালো মেঘের সাথে ঝড় হাওয়া শুরু হয়। থেমে থেমে প্রায় এক ঘন্টা বৃষ্টি বিহীন এই ঝড়ো হাওয়ায় জেলার পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলা ঘরবাড়ি, গাছপালা, ও ফসলের বেশ ক্ষতি হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন ঝড়ে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেবার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনকে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝড়ের কারণে গাছপালা ভেঙে চার উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।