বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
শিরোনাম:
গাইবান্ধা জেলা আওয়ামীলীগের নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা গাইবান্ধা জেনারেল হাসাপাতালের বিভিন্ন সমস্য নিয়ে মানববন্ধন গাইবান্ধায় চিনি বোঝাই একটি ট্রাক দুর্ঘটনায় চালক নিহত গাইবান্ধায় জেলা পরিষদ চত্বরে নতুন মসজিদ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভার হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা গাইবান্ধায় ১ হাজার ১৭ ভুমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর শিক্ষার মান উন্নয়নে দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করছে সরকার : ডা. শিমুল এমপি জলবায়ু গণ শুনানি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন ড. আইনুন নিশাত রৌমারীতে ঘর পেয়ে মহাখুশি ভূমিহীন পরিবার গাইবান্ধায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

লাইকি গার্ল ফৌজিয়ার খপ্পরে পরে মোজাম্বিক প্রবাসী নীলের আত্মহনন

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২০২ বার পঠিত
প্রকাশের সময়: সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
মিজানুর রহমান নীল ও ফৌজিয়া আনোয়ার

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: “লাইকি গার্ল” চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকার কলেজছাত্রী ফৌজিয়ার আনোয়ারের খপ্পরে পরে মোজাম্বিক প্রবাসী মিজানুর রহমান নীলের আত্মহননের অভিযোগ উঠেছে।

শেয়ারিং অ্যাপ লাইকিতে পরিচয়। সে সুবাদে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। কিছুদিন পর সেই বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। এরপর থেকেই প্রেমিকের কাছে বিভিন্ন ধরনের বায়না ধরেন প্রেমিকা। আর প্রেমিকও সুন্দরী প্রেমিকার বায়না মেটাতে উঠেপড়ে লাগেন। ধার দেন নিজের ঘাম ঝরানো পরিশ্রমের সোয়া এক কোটি টাকা।

শেষমেশ সেই ধারের টাকাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। প্রেমিকার কাছে টাকা চাইলেই সম্পর্কে ফাটল ধরে। টাকা না পেয়ে নিরুপায় হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন মোজাম্বিক প্রবাসী মিজানুর রহমান নীল।

১০ মার্চ বেলা ১১টায় দেশটির তেতে প্রদেশের স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিজানুর। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব কাহারঘোনা এলাকার সিদ্দীক আহাম্মেদের ছেলে।

জানা গেছে, লাইকি সূত্রে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকার কলেজছাত্রী ফৌজিয়া আনোয়ারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক জড়ান মিজানুর। পাশাপাশি অনলাইনে সম্পর্ক গড়ে ওঠে পতেঙ্গার ঐশী মির্জা নামে এক পার্লার ব্যবসায়ীর সঙ্গেও। আবদার মেটাতে বিভিন্ন সময় মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের টাকা ধার দেন মিজানুর। কিন্তু সেই টাকা ফেরত চাইলেই তাদের সম্পর্কে ভাটা পড়ে। এ ঘটনায় চাপ নিতে না পেরে ঐশী মির্জাকে লাইকিতে লাইভে রেখে কীটনাশক পান করেন তিনি। হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।

মিজানের বড় ভাই প্রবাসী মো. ওমর কাজী বলেন, আমরা চার ভাই মোজাম্বিকে রয়েছি। এখানে আমরা ব্যবসা করি। ২০১৪ সালে ছোট ভাই মিজানুরকে এখানে নিয়ে আসি। ব্যবসার হিসাব ও টাকা-পয়সা তার কাছে ছিল। এমন একটা ঘটনা ঘটে যাবে আমরা ভাবিনি।

তিনি বলেন, মিজানুরের হিসাবে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা আমরা গরমিল পাচ্ছি। ধারণা করছি প্রতারকদের পেছনে টাকাগুলো খরচ করেছে সে। এছাড়া এ ব্যাপারে আমরা মোজাম্বিক পুলিশের সহযোগিতা নিচ্ছি। মূল প্রতারকদের আইনের আওতায় আনতে দুই দেশের পুলিশ কাজ শুরু করেছে। মিজানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও দেশে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ফৌজিয়া আনোয়ার মুঠোফোনে জানান, যা বলার আদালতে বলবেন তিনি। তিনি গণমাধ্যমকে কিছু বলবেন না।


এ জাতীয় আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর