বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়তে চাই-প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২৯:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১
  • ১৫৫ Time View

খোঁজ খবর রিপোর্ট: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়তে চাই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে। ভারতের সঙ্গে বর্তমানে আমাদের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীজির ‘প্রতিবেশী সর্বাগ্রে’ নীতির প্রশংসা করি। বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসের টিকা পাঠানোর মাধ্যমে মোদীজির এ নীতিরই প্রতিফলন ঘটেছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ভারত শুধু আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র্ই নয়, ভারতের সঙ্গে আমাদের রয়েছে ঐতিহাসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যগত ও ভৌগোলিক সেতুবন্ধ। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের সঙ্গে ভারতের সরকার ও সেদেশের জনগণ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন। ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের অত্যাচারের মুখে বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, গোলাবারুদ দিয়ে সাহায্য করেছিল।

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে মুজির চিরন্তন থিমে ১০ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষ দিনের অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে এ কথা বলেন। এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন জাতির পিতার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। শেষ দিন ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী ভারত প্রসঙ্গে আরও বলেন, ভারত এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ দেশ। একটি স্থিতিশীল ও রাজনৈতিক-অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে হলে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা যদি পরস্পরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি তাহলে আমাদের জনগণের উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ত্যাগের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত মিত্র বাহিনীর যৌথ অভিযানের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। এ যুদ্ধে ভারতের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সৈন্য শহীদ হয়েছেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণের যে আত্মত্যাগ, সাহায্য-সহযোগিতা তা কখনও ভুলবার নয়। আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে সে অবদানের কথা স্মরণ করি।

মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে স্বাধীনতা সম্মাননা, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননাসহ ২২৫ জন ভারতীয় নাগরিককে মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননায় ভূষিত করার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়তে চাই-প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০৫:২৯:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১

খোঁজ খবর রিপোর্ট: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়তে চাই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে। ভারতের সঙ্গে বর্তমানে আমাদের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীজির ‘প্রতিবেশী সর্বাগ্রে’ নীতির প্রশংসা করি। বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসের টিকা পাঠানোর মাধ্যমে মোদীজির এ নীতিরই প্রতিফলন ঘটেছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ভারত শুধু আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র্ই নয়, ভারতের সঙ্গে আমাদের রয়েছে ঐতিহাসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যগত ও ভৌগোলিক সেতুবন্ধ। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের সঙ্গে ভারতের সরকার ও সেদেশের জনগণ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন। ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের অত্যাচারের মুখে বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, গোলাবারুদ দিয়ে সাহায্য করেছিল।

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে মুজির চিরন্তন থিমে ১০ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষ দিনের অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে এ কথা বলেন। এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন জাতির পিতার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। শেষ দিন ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী ভারত প্রসঙ্গে আরও বলেন, ভারত এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ দেশ। একটি স্থিতিশীল ও রাজনৈতিক-অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে হলে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা যদি পরস্পরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি তাহলে আমাদের জনগণের উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ত্যাগের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত মিত্র বাহিনীর যৌথ অভিযানের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। এ যুদ্ধে ভারতের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সৈন্য শহীদ হয়েছেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণের যে আত্মত্যাগ, সাহায্য-সহযোগিতা তা কখনও ভুলবার নয়। আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে সে অবদানের কথা স্মরণ করি।

মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে স্বাধীনতা সম্মাননা, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননাসহ ২২৫ জন ভারতীয় নাগরিককে মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননায় ভূষিত করার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।