খোঁজ খবর রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহামারি করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সরকারি বাসভবন গণভবনে তিনি করোনার টিকা নেন। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) করোনার টিকা নেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।
২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তাকে দিয়ে দেশে শুরু হয় করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম। সেই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
সেই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যুক্ত থাকা অবস্থায় প্রথমে টিকা দেয়া হয় ৫ জনকে। এই পাঁচ জনের মধ্যে সবার শেষে টিকা পান সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ। তাকে যখন টিকা দেয়া হচ্ছে সে সময় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘মনে হচ্ছে আমরাও গিয়ে টিকা নিয়ে আসি।’
পরক্ষণেই তিনি বলেন, ‘আগে আগে নিলে বলত নিজেই নিল অন্য কাউকে দিল না। সবাইকে দিয়ে নিই তারপরে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তার সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টিনা গ্রহন করলেন।
দেশের ১ হাজার ৫টি কেন্দ্রে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে একযোগে টিকাদান শুরু হয়েছে। প্রতি কার্যদিবসে সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেওয়া হয়। প্রথম দফায় ৭০ লাখ টিকা এনেছে সরকার। এর মধ্যে ভারতের উপহার হিসেবে ছিল ২০ লাখ। এরপর দ্বিতীয় চালানে আরও ২০ লাখ টিকা আনা হয়েছে।
গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। গত ২২ জানুয়ারি ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে বাংলাদেশে টিকা আসে প্রথমবারের মতো। সেদিন ভারত সরকারের উপহারের ২০ হাজার টিকা পৌঁছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ৩ দিন পর বাংলাদেশের কেনা ৫০ লাখ টিকা আসে।
সরকার শুরুতেই সিদ্ধান্ত নেয়, টিকা প্রথমে পাবে সম্মুখসারির যোদ্ধা অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারের অত্যাবশ্যকীয় কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও ৬০ বছরের বেশি বয়সীদেরকে রাখা হয় অগ্রাধিকার তালিকায়।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে শুরু হয় টিকা কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ।