
স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধায় মাদক মামলায় বাস সুপার ভাইজারকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে এক লক্ষ টাকা অর্থদ- করা হয়। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই ফাঁসির রায় দেন জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী রবি দাস বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা গ্রামের মৃত বেচু রাম দাসের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে গাইবান্ধা থেকে বগুড়াগামী যাত্রীবাহী বাস নওশা পরিবহনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় বাসের পিছনের সিটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা পাচটি পলিথিনের প্যাকেটের ৪৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। হেরোইন বহনের অভিযোগে বাসের সুপার ভাইজার রবি দাসকে আটক করে পুলিশ। পরের দিন রবি দাসকে আসামী করে পলাশবাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক মো. সাজু মিয়া। স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহন এবং রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামী পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আসামী শ্রী রবি দাসের উপস্থিতিতে এই রায় দেন আদালত। ১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯ (১) ধারার ১(খ) টেবিল এর অধিনে একমাত্র আসামী রবি দাসকে মৃত্যুদন্ড এবং এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন জেলা দায়রা আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক। মামলার রায় শোনার পর আসামীর স্বজনেরা কোট চত্তরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর-পিপি ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। তিনি বলেন, ২৫ গ্রাম হেরোইন রাখা বা ব্যবসা করার অপরাধে ফাঁসির আদেশ হয়। সেখানে আসামী ১৭ গুন বেশী হেরোইন পরিবহন রবি দাস ১৭ গুন বেশী অর্থাৎ ৪৩০ গ্রাম হেরোইন তার কাছে পাওয়া গেছে। সে একজন মাদক ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসার সাথে জড়িত। ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স আরও বলেন, রবি দাস সমাজকে ধ্বংস করেছে, রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে। আজকে রাস্ট্র মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে। আমরাও জিরো টলারেন্সে আছি। আমাদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়েছে। এটা একটা ম্যাসেস চলে গেছে যাতে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেয়। আজকে তার একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো।
আসামী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. মাসুদার রহমান বিশ^াস বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাই নাই। তাই উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।