
স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে ফোরলেন প্রকল্প বাস্তবায়নে আজ বেলা ১১টাকার দিকে শহরের রেলগেট থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। জেলা পরিষদ মার্কেট, ফায়ার সার্ভিস, ফকিরপাড়া হয়ে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত চলে উচ্ছেদ অভিযান। এ সময় সংশ্লিষ্ট স্থাপনা মালিকদের তাদের মালামালসহ অন্যান্য জিনিসপত্র সরিয়ে নেয়ার কাজে তাদের শ্রমিকদের সাথে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরাও সহযোগিতা করেন। তবে নোটিশ ছাড়াই অভিযান চালানো হয় বলে অভিযোগ দখলদারদের। স্থাপনা উচ্ছেদের আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাইকিং করলে সাবেক পৌর মেয়রসহ স্থানীয়রা শনিবার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ ছাড়াই উচ্ছেদ করা হচ্ছে তাদের সম্পদ।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ সরকার বলেন, আমাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া সাপেক্ষে এ রাস্তা চার লেন করা হোক এতে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। গাইবান্ধা পৌরসভার সাবেক মেয়র শামছুল আলম বলেন, রেল লাইনের পূর্বপার্শে হুকুম দখল করা হলো, তারা টাকা পাওয়ার পর তাদের স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিয়েছেন।
তাদের অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ আখতার বলেন, ব্যক্তি মালিকানা নয় সড়ক ও জনপথের নিজস্ব জমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে এ অভিযান চলছে। যারা বলছেন ক্ষতিপূরণ পাননি তারা আসলে এখানে অবৈধ দখলদার। কারণ এটা সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-সচিব কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, সরে যাওয়ার জন্য নোটিশ ও মাইকিং করা হয়েছে। যারা তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে যায়নি, তাদেরটা সরানোর কাজ করা হচ্ছে। এর আগে ২০০২ সালে ডিবি রোডের উভয়পাশের জমি নিজের সম্পত্তি দাবি করে স্থানীয়রা আদালতে মামলা করলে আদালত নিষেধাজ্ঞা দেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মামলা করলে গত বছরের ডিসেম্বরে আদালত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আদেশ দেন। রোববার প্রায় ২০০ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছে। এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।