স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধা সদর উপজেলার তুলশীঘাট এলাকার কালভার্টের নীচ থেকে মানুষের একটি অর্ধগলিত কাটা পা উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাটুর উপর থেকে কাটা ওই পা-টি কোন পুরুষ নাকি মহিলার তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ চেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গতকাল রোববার বিকেলে সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের তুলশীঘাট শামছুল হক ডিগ্রী কলেজ-হেলিপ্যাড সড়কের কালভার্টের নীচে মাছ ধরতে যান স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি সেখানে বস্তায় মোড়ানো পলিথিনের একটি ব্যাগ দেখতে পান। ব্যাগটি খোলার পর মানুষের একটি খন্ডিত পা পাওয়া যায়। এ খবর তাৎক্ষনিক ছড়িয়ে পড়লে শতশত মানুষের ভীর জমে সেখানে। পরে গাইবান্ধা সদর থানা থেকে পুলিশ গিয়ে অর্ধগলিত মানুষের খন্ডিত পা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এই ঘটনায় গাইবান্ধা সদর থানার এসআই রাফায়েত বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদি এসআই রাফায়েত আজ বিকেল সোয়া ৪টায় বলেন, মানুষের খন্ডিত অর্ধ গলিত পা-টি পুরুষ নাকি মহিলার তা বলা যাচ্ছে না। পা-টির ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করার পর আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ডিএনএ টেস্টের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা না থাকায় তা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহফুজুর রহমান মানুষের পা উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পা-টি অর্ধ-গলিত অবস্থায় পাওয়া যায়। কিন্তু আশপাশে মানুষের দেহের আর কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাওয়া যায়নি। তাই পা-টি পুরুষ নাকি মহিলার এবং এই পাটি কোন ব্যক্তির তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ টেষ্টের পাশাপাশি দেশের সকল থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ টেস্টের ফলাফল পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে পাটি পুরুষ মানুষের নাকি মহিলার। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।