দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি দিনাজপুরে প্রথম টিকা নিয়ে কোভিড-১৯ এর টিকাদান কর্মসুচীর উদ্বোধন করলেন। ৭ ফেব্রুয়ারী রোববার দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড-১৯ এর টিকা টিকাদান কর্মসুচীর উদ্বোধনের পুর্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপির সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন। এ সময় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে এখনও কোভিড-১৯ এর টিকা পৌছেনি। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় এই ভ্যাকসিন এখন জনগনের দারপ্রান্তে পৌছে গেছে। এসবই সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তা ও উদ্যোগের কারনেই।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু মানুষ এই ভ্যাকসিনের সমালোচনা করে সরকারের অপবাদ করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন প্রনোদনা থেকে সাহায্য সহযোগিতা দিয়েও করোণাকালীন অসহায় মানুষসহ ব্যবসায়ী সকল মহলকে সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। ফলে কোভিড-১৯ এর কারনে দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা এখনও অন্যান্য দেশের তুলনায় ভাল রয়েছে। জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি প্রথম টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে যে ভয় ভীতি দুর করার অনুভুতি ব্যক্ত করে বলেন, এইট টিকায় কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আমার কোন অসুবিধা হচ্ছে না। আমি ভাল আছি সুস্থ্য আছি। ৫৫ বছর অতিক্রমকৃত প্রতিটি মানুষকেই এই টিকা নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে।
হুইপের পরে একে একে নিবন্ধিত ডাক্তার, নার্সসহ অনেকেই টিকা গ্রহন করেন। টিকা গ্রহনের জন্য নিবন্ধিত সাধারন মানুষকেও অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। দিনাজপুর জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নাসিরুল হক রুস্তম কোভিড-১৯এর টিকা নিয়ে অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, টিকা নেয়ার পর কোন সমস্যা হয় নি। যারা অপবাদ ছড়াচ্ছে তাদের মুখে আজকে ছাই পড়েছে। দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শরিফুল ইসলাম, এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ এর অধ্যক্ষ ডাঃ নাদির হোসেন, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ শাহ মোজাহেদুল ইসলাম, দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদ সরকার, দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল কুদ্দুস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাগফুরুল হাসান আব্বাসী, দিনাজপুর বিএমএর সভাপতি ডাঃ ওয়ারেস আলী সরকার, সাধারন সম্পাদক ডাঃ বিকে বোস, শহর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রায়হান কবীর সোহাগ, সাধারন সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজু প্রমুখ।
এ দিকে ২৫০ শয্যা জেনারেল সদর হাসপাতালে একই ভাবে টিকাদান কর্মসুচীর উদ্বোধনের পর দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেনারেল হাসপাতালে শত শত মানুষ উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে কোভিড-১৯ এর টিকা নেয়ার জন্য অপেক্ষামান ছিলেন। দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সচিন চাকমা টিকা নিয়ে বলেন, এই টিকা এখন প্রত্যেকটি মানুষকে নেয়া উচিত। এই টিকার প্রভাবে বাংলাদেশে মহামারি প্রতিরোধ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। কোভিড-১৯ এর টিকা নেয়া ও রেজিষ্ট্রেশনে প্রচুর বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়।