রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় মারা গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত উপস্থাপক ল্যারি কিং

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৫৩:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২১
  • ১৬৬ Time View

খোঁজ খবর ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সিএনএনের বিখ্যাত সাংবাদিক ল্যারি কিং। শনিবার স্থানীয় সময় সকালে তার এ মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। খবর সিএনএনের। খ্যাতনামা এই টিভি ব্যক্তিত্ব ৮৭ বছর বয়সে শনিবার মারা গেছেন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

সিএনএন জানিয়েছে, ল্যারি কিংয়ের ফেইসবুক পাতায় তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। একটানা ২৫ বছর সিএনএনে ‘ল্যারি কিং লাইভ’ টক শোটি চালিয়ে এসেছিলেন ল্যারি কিং। ৬৩ বছরের পেশাগত জীবনে রেডিও, টেলিভিশন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে হাজার হাজার সাক্ষাৎকার তিনি নিয়েছিলেন। সেলেব্রিটিদের নিয়ে আলোচনা করতে করতে এক পর্যায়ে ল্যারি কিং নিজেই সেলেব্রিটি হয়ে ওঠেন। এই কিংবদন্তি সাংবাদিক সিএনএন, ইউএস টুডেসহ একাধিক গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। ইউএস টুডেতে ২০ বছর কলাম লিখেছেন। সর্বশেষ রুশ গণমাধ্যম আরটি এবং হুলুতে কাজ করছিলেন।

জীবনে বহু মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। কে নেই এই দীর্ঘ তালিকায়! রাষ্ট্রপ্রধান, রাজনীতিবিদ, চলচ্চিত্র-তারকা, সংগীতশিল্পী, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবক, ব্যবসায়ী, এমনকি দুর্গত জনসাধারণ, সবাই আছেন তার সাক্ষাৎকারের তালিকায়। যিনি এসবের নায়ক, তার নাম ল্যারি কিং। খ্যাতি অর্জন করেছেন টেলিভিশন টক শো অনুষ্ঠান ‘ল্যারি কিং লাইভ’-এর মাধ্যমে। সিএনএনে প্রচারিত এই অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে অর্জন করেছেন টক শো অনুষ্ঠানের রাজার মর্যাদা। ১৯৮৫ সালের ৩ জুনে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি তিনি রাজকীয় ভঙ্গিমায় চালিয়ে গেছেন এ বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। টানা ২৫টি বছর। ৮৭ বছর বয়সী এই প্রখ্যাত বক্তা ৬০ বছরেরও বেশি ক্যারিয়ারে কিং-এর বহু অর্জন রয়েছে, এর মধ্যে এমি অ্যাওয়ার্ড রয়েছে।

লরেন্স হার্ভে বা ল্যারি কিংয়ের জন্ম নিউইয়র্কে। ১৯৩৩ সালের ১৯ নভেম্বর। বাবা ছিলেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী। আর মা বেলারুশ থেকে আসা এক পোশাকশিল্প কর্মী। ল্যারি ফোরিডার স্থানীয় সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করেন। ১৯৫০-এর দশক থেকে কাজ করেন রেডিও ইন্টারভিউয়ার হিসেবে। ১৯৭০-এর দশকে তিনি রেডিও উপস্থাপক হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক পাচ্ছেন ২ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান

করোনায় মারা গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত উপস্থাপক ল্যারি কিং

Update Time : ১২:৫৩:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২১

খোঁজ খবর ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সিএনএনের বিখ্যাত সাংবাদিক ল্যারি কিং। শনিবার স্থানীয় সময় সকালে তার এ মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। খবর সিএনএনের। খ্যাতনামা এই টিভি ব্যক্তিত্ব ৮৭ বছর বয়সে শনিবার মারা গেছেন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

সিএনএন জানিয়েছে, ল্যারি কিংয়ের ফেইসবুক পাতায় তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। একটানা ২৫ বছর সিএনএনে ‘ল্যারি কিং লাইভ’ টক শোটি চালিয়ে এসেছিলেন ল্যারি কিং। ৬৩ বছরের পেশাগত জীবনে রেডিও, টেলিভিশন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে হাজার হাজার সাক্ষাৎকার তিনি নিয়েছিলেন। সেলেব্রিটিদের নিয়ে আলোচনা করতে করতে এক পর্যায়ে ল্যারি কিং নিজেই সেলেব্রিটি হয়ে ওঠেন। এই কিংবদন্তি সাংবাদিক সিএনএন, ইউএস টুডেসহ একাধিক গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। ইউএস টুডেতে ২০ বছর কলাম লিখেছেন। সর্বশেষ রুশ গণমাধ্যম আরটি এবং হুলুতে কাজ করছিলেন।

জীবনে বহু মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। কে নেই এই দীর্ঘ তালিকায়! রাষ্ট্রপ্রধান, রাজনীতিবিদ, চলচ্চিত্র-তারকা, সংগীতশিল্পী, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবক, ব্যবসায়ী, এমনকি দুর্গত জনসাধারণ, সবাই আছেন তার সাক্ষাৎকারের তালিকায়। যিনি এসবের নায়ক, তার নাম ল্যারি কিং। খ্যাতি অর্জন করেছেন টেলিভিশন টক শো অনুষ্ঠান ‘ল্যারি কিং লাইভ’-এর মাধ্যমে। সিএনএনে প্রচারিত এই অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে অর্জন করেছেন টক শো অনুষ্ঠানের রাজার মর্যাদা। ১৯৮৫ সালের ৩ জুনে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি তিনি রাজকীয় ভঙ্গিমায় চালিয়ে গেছেন এ বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। টানা ২৫টি বছর। ৮৭ বছর বয়সী এই প্রখ্যাত বক্তা ৬০ বছরেরও বেশি ক্যারিয়ারে কিং-এর বহু অর্জন রয়েছে, এর মধ্যে এমি অ্যাওয়ার্ড রয়েছে।

লরেন্স হার্ভে বা ল্যারি কিংয়ের জন্ম নিউইয়র্কে। ১৯৩৩ সালের ১৯ নভেম্বর। বাবা ছিলেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী। আর মা বেলারুশ থেকে আসা এক পোশাকশিল্প কর্মী। ল্যারি ফোরিডার স্থানীয় সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করেন। ১৯৫০-এর দশক থেকে কাজ করেন রেডিও ইন্টারভিউয়ার হিসেবে। ১৯৭০-এর দশকে তিনি রেডিও উপস্থাপক হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।