বিশেষ প্রতিনিধি: কারাবন্দি অবস্থায় নারীসঙ্গের ঘটনা জঘন্যতম অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, কারাগারের ভেতরে এ ধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। যেই এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকবে, বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় ইতোমধ্যেই মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিধি অনুযায়ী শাস্তি পাবে অভিযুক্তরা।
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এর বন্দি হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত জিএম তুষার আহমেদকে কারাগারে নারী সঙ্গীর ব্যবস্থা করে দেয়ার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুক্রবার সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মাইন উদ্দিন ভূইয়া তিনজনকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন। প্রত্যাহারকৃতরা হলেন- কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এর ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর মো. আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. খলিলুর রহমান।
কারা অধিদপ্তরের দেওয়া গত ১৮ জানুয়ারির এক আদেশনামায় দেখা গেছে, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ এর ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর মো. আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. খলিলুর রহমানকে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ থেকে প্রত্যাহার করে কারা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম কেলেঙ্কারি হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের ভায়রা ও হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদকে কারা কর্মকর্তাদের কক্ষে নারীসঙ্গের ব্যবস্থা করে দেয়ার অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে উপসচিব (সুরক্ষা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।