
গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলসহ রাষ্ট্রয়াত্ত্ব ছয়টি চিনিকলে আখমাড়াই বন্ধ রাখার প্রতিবাদে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্থানীয় বিভিন্ন পেশার লোকজনের অংশগ্রহনে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রংপুর চিনিকল থেকে আখচাষী ও শ্রমিক-কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে মহিমাগঞ্জ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণের সময় স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে যোগ দেন। মিছিলটি মহিমাগঞ্জ বাজার ও রেলস্টেশন ঘুরে পরে চিনিকল প্রাঙ্গণে এলে সেটি একটি বিক্ষোভ সমাবেশে রূপ নেয়। এ সময় অপ্রীতিকর যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় গোবিন্দগঞ্জ থানার একদল পুলিশ এসে চিনিকলের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়। বাংলাদেশ চিনিশিল্প করপোরেশন শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশন ও বাংলাদেশ আখচাষী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
দুপুর ১২টায় চিনিকল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, রংপুর চিনিকল আখচাষী কল্যাণ গ্রুপের সভাপতি জিন্নাত আলী প্রধান, রংপুর চিনিকলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক মন্ত্রী মরহুম আহম্মেদ উকিলের পুত্র অধ্যাপক আবু তাহের, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান, আখচাষী সমিতির সহ-সম্পাদক আব্দুর রশিদ ধলু, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবু সুফিয়ান সুজা, সাবেক সভাপতি এসএম জালাল, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, সহ-সম্পাদক ফারুক হোসেন ফটু, শ্রমিক নেতা মানজুদুর রহমান লাভলু, রফিকুল ইসলাম, ইক্ষু উন্নয়ন কর্মি সংসদের সম্পাদক শাহজাহান আলী প্রমূখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প সংস্থার চেয়ারম্যানসহ উর্ধতন কর্মকর্তাদের সীমাহীন দুর্নীতি, অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, বিলাসবহুল গাড়িসহ সকল ধরণের কেনাকাটায় ব্যাপক লুটপাটের জন্য পুরো চিনিশিল্প সংস্থাকে লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার দায়িত্ব শ্রমিক-কর্মচারীরা নেবেনা। সংস্থার বর্তমান চেয়ারম্যানসহ বেসরকারি চিনিকলের দালাল এই আমলাদের কথা শুনে সরকার চিনিকল বন্ধ করার অপচেষ্টা থেকে সরে না আসলে রাজপথ-রেলপথ অবরোধসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।