বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি বেদখলের সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৪০:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • ২১৮ Time View

স্টাফ রিপোর্টার: গোবিন্দগঞ্জের বর্ধনকুঠি গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নামে জমি বেদখলের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ ও প্রতিকার এবং অন্যায় অপপ্রচারের শাস্তির দাবিতে সোমবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই গ্রামের কাজী সাফায়েত হোসেন মানিক। কাজী সাফায়েত হোসেন মানিকেরবিরুদ্ধে গত ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, তার প্রয়াত পিতা কাজী নুরুর রহমান ওরফে ময়না কাজী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। উক্ত সংবাদ সম্মেলনকারী মো. আদনান প্রধানের পিতা মৃত সোহরাব আলী প্রধান ও দাদা ছবেদ আলী প্রধান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে শান্তি কমিটির তালিকাভুক্ত সদস্য হিসেবে স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকায় সক্রিয় ছিল। ছবেদ আলী প্রধান ও সোহরাব আলী কথিত জমি বাবদ জাল জালিয়াতি পূর্ণ কাগজপত্র তৈরি করে। কিন্তু তার মুক্তিযোদ্ধা পিতা নুরুর রহমান তাদের বিরুদ্ধে তৎকালিন মুন্সেস আদালতে দেওয়ানী মমলা করে পক্ষে রায় পান। ওই মামলার রায়ের বিরুদ্ধে সোহরাব আলী ও ছবেদ আল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত আপিল করে পরাজিত হয়। এরপর ছবেদ আলী ও সোহরাব আলী তার পিতার বিরুদ্ধে পুনরায় মামলা করে এবং হাইকোর্ট পর্যন্ত সেই মামলাটি পরিচালনা করে তাতেও পরাজিত হয়।
এই ধারাবাহিক শত্রুতার জের ধরে সোহরাব আলীর ছেলে সৃষ্টি প্রধান নিজেকে মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচারসহ নানাভাবে অপপ্রচার ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, ৭ একর ৯৭ শতাংশ জমির মধ্য থেকে ৪০ শতক জমি গোবিন্দগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য দানপত্র দলিল করে দেয় (দানপত্র দলিল নম্বর ৯২৪৬, তারিখ ২৫.০৮.২০২০, জমির তফসিলঃ জেলা-গাইবান্ধা, উপজেলা-গোবিন্দগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা, ওয়ার্ড নং-০৯, মৌজা-বর্ধনকুঠি, জেএল নং-২৪৫, খতিয়ান নং-সিএস-৪/৯৯, এসএ-১৬৫, খারিজ-৯১৭, ডিপি-১৭১, দাগনং : সাবেক-৪৩৩, বিআরএস-৬৮৫, জমির মালিকানা সনদ নম্বর ৯২৪, তারিখ: ১১.১১.২০২০)। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ যথারীতি সরকারকে কর প্রদান করে চেক দাখিলা প্রাপ্তও হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে আদনান প্রধানের পিতা ও দাদার অবর্তমানে তাদের ওয়ারিশদের ওই জমিতে কোন মালিকানা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওই মুক্তিযোদ্ধা স্কুল ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল ওয়াহেদ, মজিবর রহমান, নুরুল ইসলাম তালুকদার, বজলুর রহমান, শেখ সাদেক, আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মিয়া আসাদুজ্জামান, কাজী আতিনুর রহমান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি বেদখলের সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ০১:৪০:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার: গোবিন্দগঞ্জের বর্ধনকুঠি গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নামে জমি বেদখলের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ ও প্রতিকার এবং অন্যায় অপপ্রচারের শাস্তির দাবিতে সোমবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই গ্রামের কাজী সাফায়েত হোসেন মানিক। কাজী সাফায়েত হোসেন মানিকেরবিরুদ্ধে গত ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, তার প্রয়াত পিতা কাজী নুরুর রহমান ওরফে ময়না কাজী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। উক্ত সংবাদ সম্মেলনকারী মো. আদনান প্রধানের পিতা মৃত সোহরাব আলী প্রধান ও দাদা ছবেদ আলী প্রধান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে শান্তি কমিটির তালিকাভুক্ত সদস্য হিসেবে স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকায় সক্রিয় ছিল। ছবেদ আলী প্রধান ও সোহরাব আলী কথিত জমি বাবদ জাল জালিয়াতি পূর্ণ কাগজপত্র তৈরি করে। কিন্তু তার মুক্তিযোদ্ধা পিতা নুরুর রহমান তাদের বিরুদ্ধে তৎকালিন মুন্সেস আদালতে দেওয়ানী মমলা করে পক্ষে রায় পান। ওই মামলার রায়ের বিরুদ্ধে সোহরাব আলী ও ছবেদ আল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত আপিল করে পরাজিত হয়। এরপর ছবেদ আলী ও সোহরাব আলী তার পিতার বিরুদ্ধে পুনরায় মামলা করে এবং হাইকোর্ট পর্যন্ত সেই মামলাটি পরিচালনা করে তাতেও পরাজিত হয়।
এই ধারাবাহিক শত্রুতার জের ধরে সোহরাব আলীর ছেলে সৃষ্টি প্রধান নিজেকে মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচারসহ নানাভাবে অপপ্রচার ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, ৭ একর ৯৭ শতাংশ জমির মধ্য থেকে ৪০ শতক জমি গোবিন্দগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য দানপত্র দলিল করে দেয় (দানপত্র দলিল নম্বর ৯২৪৬, তারিখ ২৫.০৮.২০২০, জমির তফসিলঃ জেলা-গাইবান্ধা, উপজেলা-গোবিন্দগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা, ওয়ার্ড নং-০৯, মৌজা-বর্ধনকুঠি, জেএল নং-২৪৫, খতিয়ান নং-সিএস-৪/৯৯, এসএ-১৬৫, খারিজ-৯১৭, ডিপি-১৭১, দাগনং : সাবেক-৪৩৩, বিআরএস-৬৮৫, জমির মালিকানা সনদ নম্বর ৯২৪, তারিখ: ১১.১১.২০২০)। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ যথারীতি সরকারকে কর প্রদান করে চেক দাখিলা প্রাপ্তও হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে আদনান প্রধানের পিতা ও দাদার অবর্তমানে তাদের ওয়ারিশদের ওই জমিতে কোন মালিকানা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওই মুক্তিযোদ্ধা স্কুল ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল ওয়াহেদ, মজিবর রহমান, নুরুল ইসলাম তালুকদার, বজলুর রহমান, শেখ সাদেক, আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মিয়া আসাদুজ্জামান, কাজী আতিনুর রহমান।