শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে সরকার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০
  • ১৭১ Time View

ঢাকা প্রতিনিধিঃ আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে সরকার। কেননা জনগণের পক্ষ থেকে এ দাবি উঠেছে।’ বুধবার গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সকালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু জনগণের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে, সেহেতু এটি সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। কারণ আইন মানুষের জন্য।’

এদিকে এদিন হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে বেশকিছু নির্দেশনা রয়েছে। এসব নির্দেশনা কেউ প্রতিপালন করেন না। বরং আদেশ দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মাইন্ড (মন খারাপ) করেন।’ ৩২ বছর আগের এক হত্যা মামলা নিয়ে আদেশের সময় বুধবার এ মন্তব্য করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

ধর্ষণের সাজা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, সরকারের এ ঘোষণা (মৃত্যুদণ্ড করা হবে) ধর্ষক তথা অপরাধীদের ওপর একটা মানসিক চাপ তৈরি করবে। তিনি বলেন, আইন দ্রুত সংশোধন করে যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করা হোক। ব্যারিস্টার শফিক বলেন, ভারতে শিশু ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তারপরও ধর্ষণ হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে যেহেতু দাবি উঠেছে, সেহেতু এটাকে গুরুত্ব দেয়া দরকার।

গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আইনুন্নাহার বলেন, আমাদের দেশে হত্যা ও এসিড নিক্ষেপের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে, শুধু ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করলে অসুবিধা কোথায়? সরকার যেহেতু এ বিষয়ে চিন্তা করছে, এক্ষেত্রে আমি বলব, এতে অন্তত দু-একটা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করলে মানুষ খুশি হবে।

সম্প্রতি সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। কয়েক দিন ধরে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনে দাবি উঠেছে ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড করার।

হাইকোর্টের ছয় নির্দেশনা : নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার বিচারে ২০১৯ সালের ২১ জুলাই ছয়টি নির্দেশনা দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ।

এগুলো হল : ১. মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়ে (বিচারের জন্য মামলা পাওয়ার দিন থেকে ১৮০ দিন) মধ্যে যাতে দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করা যায়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ।

২. শুনানি শুরু হলে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবসে একটানা পরিচালনা।

৩. ধার্য তারিখে সাক্ষীর উপস্থিতি ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতি জেলায় মনিটরিং কমিটি গঠন এবং প্রতিমাসে সুপ্রিমকোর্ট, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ।

৪. ধার্য তারিখে রাষ্ট্রপক্ষ সঙ্গত কারণ ছাড়া সাক্ষীকে আদালতে উপস্থিত করতে ব্যর্থ হলে মনিটরিং কমিটিকে জবাবদিহি করতে হবে।

৫. মনিটরিং কমিটি সাক্ষীদের ওপর দ্রুত যাতে সমন জারি করা যায়, সে বিষয়টিও তদারকি করবেন। ৬. ধার্য তারিখে সমন পাওয়ার পর অফিশিয়াল সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে না এলে ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ এবং প্রয়োজনে বেতন বন্ধের আদেশ দেবেন। এছাড়া আদালত অবিলম্বে সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়নের তাগিদ দেন।

বর্তমান আইনে শাস্তি : নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এ বলা হয়েছে, (১) ‘যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।’

(২) ‘যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।’

(৩) যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন, তাহা হইলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।

(৪) যদি কোন ব্যক্তি কোন নারী বা শিশুকে- (ক) ধর্ষণ করিয়া মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।’

এছাড়াও বিভিন্ন ধারায় ধর্ষণচেষ্টা ও হেফাজতে মৃত্যুর সাজা পাঁচ থেকে দশ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার সাজা রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে সরকার

Update Time : ০৭:০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০

ঢাকা প্রতিনিধিঃ আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে সরকার। কেননা জনগণের পক্ষ থেকে এ দাবি উঠেছে।’ বুধবার গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সকালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু জনগণের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে, সেহেতু এটি সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। কারণ আইন মানুষের জন্য।’

এদিকে এদিন হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে বেশকিছু নির্দেশনা রয়েছে। এসব নির্দেশনা কেউ প্রতিপালন করেন না। বরং আদেশ দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মাইন্ড (মন খারাপ) করেন।’ ৩২ বছর আগের এক হত্যা মামলা নিয়ে আদেশের সময় বুধবার এ মন্তব্য করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

ধর্ষণের সাজা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, সরকারের এ ঘোষণা (মৃত্যুদণ্ড করা হবে) ধর্ষক তথা অপরাধীদের ওপর একটা মানসিক চাপ তৈরি করবে। তিনি বলেন, আইন দ্রুত সংশোধন করে যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করা হোক। ব্যারিস্টার শফিক বলেন, ভারতে শিশু ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তারপরও ধর্ষণ হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে যেহেতু দাবি উঠেছে, সেহেতু এটাকে গুরুত্ব দেয়া দরকার।

গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আইনুন্নাহার বলেন, আমাদের দেশে হত্যা ও এসিড নিক্ষেপের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে, শুধু ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করলে অসুবিধা কোথায়? সরকার যেহেতু এ বিষয়ে চিন্তা করছে, এক্ষেত্রে আমি বলব, এতে অন্তত দু-একটা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করলে মানুষ খুশি হবে।

সম্প্রতি সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। কয়েক দিন ধরে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনে দাবি উঠেছে ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড করার।

হাইকোর্টের ছয় নির্দেশনা : নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার বিচারে ২০১৯ সালের ২১ জুলাই ছয়টি নির্দেশনা দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ।

এগুলো হল : ১. মামলাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়ে (বিচারের জন্য মামলা পাওয়ার দিন থেকে ১৮০ দিন) মধ্যে যাতে দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করা যায়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ।

২. শুনানি শুরু হলে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবসে একটানা পরিচালনা।

৩. ধার্য তারিখে সাক্ষীর উপস্থিতি ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতি জেলায় মনিটরিং কমিটি গঠন এবং প্রতিমাসে সুপ্রিমকোর্ট, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ।

৪. ধার্য তারিখে রাষ্ট্রপক্ষ সঙ্গত কারণ ছাড়া সাক্ষীকে আদালতে উপস্থিত করতে ব্যর্থ হলে মনিটরিং কমিটিকে জবাবদিহি করতে হবে।

৫. মনিটরিং কমিটি সাক্ষীদের ওপর দ্রুত যাতে সমন জারি করা যায়, সে বিষয়টিও তদারকি করবেন। ৬. ধার্য তারিখে সমন পাওয়ার পর অফিশিয়াল সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে না এলে ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ এবং প্রয়োজনে বেতন বন্ধের আদেশ দেবেন। এছাড়া আদালত অবিলম্বে সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়নের তাগিদ দেন।

বর্তমান আইনে শাস্তি : নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এ বলা হয়েছে, (১) ‘যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।’

(২) ‘যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।’

(৩) যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন, তাহা হইলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।

(৪) যদি কোন ব্যক্তি কোন নারী বা শিশুকে- (ক) ধর্ষণ করিয়া মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।’

এছাড়াও বিভিন্ন ধারায় ধর্ষণচেষ্টা ও হেফাজতে মৃত্যুর সাজা পাঁচ থেকে দশ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার সাজা রয়েছে।