
খোঁজ খবর রিপোর্টঃ গাইবান্ধায় সবকটি নদীর পানি দ্রুত কমতে থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। তবে বাড়িঘরে পানি থাকায় বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের শুকনো খাবার, জ্বালানি সংকট ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সেইসাথে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, রোববার বিকেল ৩টায় ৭ সেন্টিমিটার পানি কমে করোতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী পয়েন্টে বিপদসীমার ১০৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং ঘাঘট নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার কমে গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
বন্যার পানিতে গোাবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর ভায়া ঘোড়াঘাট আঞ্চলিক মহাসড়ক ডুবে থাকায় এই সড়কে ৬ দিন ধরে সকল প্রকার ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিচতলা পানিতে ডুবে থাকায় সেখানে ৭ দিন ধরে চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরের বিভিন্ন কার্যালয় ও রেজিষ্ট্রি অফিসে পানি থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও সেবা নিতে আসা জনগণ। বন্যার পানির তোড়ে গোবিন্দগঞ্জের বগলাগাড়ীতে করতোয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে নতুন নুতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। জেলায় পঞ্চম দফা এই বন্যায় হাজার হাজার একর জমির আমন ধান, কলা, আখ এবং বিভিন্ন শাকসবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এ.কে.এম ইদ্রিস আলী জানান, বন্যার্তদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ৩৫ মেট্রিকটন চাল ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, গো-খাদ্যের জন্য ১ লাখ ২৫ হাজার ও শিশুখাদ্যর জন্য ৪৫ হাজার, গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় পৌরসভায় ৮ টন চাল, ৩৯ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া পালাশবাড়ী উপজেলায় ২০ মেট্রিকটন চাল ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ২৫ হাজার টাকা ও , গো-খাদ্যের জন্য ৭৫ হাজার টাকা এবং সাদুল্লাপুর উপজেলায় ২৫ মেট্রিকটন চাল ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, গো-খাদ্যের জন্য ১ লাখ টাকা, শিশুখাদ্যে জন্য ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিন উপজেলায় শুকনা খাবার ১ হাজার ৩০ প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।