শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অস্বাভাবিক উত্থানের পর ফের বড় ধরনের দরপতনের মুখে পড়েছে স্বর্ণের দাম

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:২৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৬৮ Time View

খোঁজ খবর ডেস্কঃ বিশ্ববাজারে দফায় দফায় কমছে মূল্যবান এই ধাতুর দাম। অস্বাভাবিক উত্থানের পর ফের বড় ধরনের দরপতনের মুখে পড়েছে স্বর্ণের দাম। যার ফলে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনা বিক্রি হতে দেখা যায় ১৮৫৬.৬২ ডলারে; যা আগের দিনের চেয়ে ১১.৪২ ডলার কম।

বিশেজ্ঞরা মনে করছেন, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার কমানোয় এবং নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র ডলার শক্তিশালী করার চেষ্টা করায় স্বর্ণের এই দরপতন হচ্ছে। বিশেজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন দৌরাত্ম্যের কারণে স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ডলারের পতন এবং স্বর্ণের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনে চীনের হাত ছিল। এখন নির্বাচনের আগে ট্রাম্প ডলার শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এর সঙ্গে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার কমিয়েছে। আবার অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে কিছু জুয়াড়ি স্বর্ণ বিক্রির চাপ বাড়িয়েছে। স্বর্ণ বিক্রি করে তাদের একটি অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছেন। এ সবকিছু মিলে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বড় ধরনের দরপতন ঘটে সোনার বাজারে। ওই দিন ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমে ৩৮.৬৮ ডলার। বুধবার দিন শেষে সোনার দাম দাঁড়ায় ১৮৬১.৯০ ডলার/আউন্স। এরপর দিন আবার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। বৃহস্পতিবার (গতকাল) প্রতি আউন্স সোনার দাম বাড়ে ৬.১৫ ডলার। গতকাল লেনদেন শেষ হয় ১৮৬৮.০৪ ডলারে। গোল্ডপ্রাইসের তথ্যে দেখা যায়, গেল ৩০ দিনের ব্যবধানের প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ১৪.১২ শতাংশ। তবে, গেল ৬ মাসের ব্যবধানের প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৫৮.৪৯ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বর্ণের বাজার এখন অনেকটাই জুয়ার আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্বর্ণের দাম কখন কোন দিকে যাচ্ছে, কোনো ধারণা করা যাচ্ছে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্বর্ণের প্রকৃত ব্যবসায়ীরা। একদিকে দেশের বাজারে স্বর্ণের অলঙ্কারের ক্রেতা নেই, অন্যদিকে বাড়তি দামে স্বর্ণ কেনার পর দাম কমায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। বিশ্ববাজার ও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমার কারণ হিসেবে অনেকে মনে করছেন, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার কমিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগে ট্রাম্প ডলার শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার এটিই অন্যতম কারণ। আর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার কারণে বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে।

স্বর্ণের দামের বিষয়ে এক জুয়েলার্সের মালিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, বর্তমানে আমাদের বাজারে স্বর্ণের যে দাম আছে, তা বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার কারণে আমাদের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। এতে আমরা স্বর্ণের অলঙ্কার ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছি। কারণ বেশি দামে স্বর্ণ কিনে এখন আমাদের কম দামে স্বর্ণ বিক্রি করতে হবে।

পল্টনে স্বর্ণ কিনতে আসা ইশরাত বেগম নামে একজন ক্রেতা জানান, স্বর্ণের দাম নিয়ে আমরা যারা সাধারণ পাবলিক আমাদের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে। ভাবলাম কিছু গহনা কিনবো কিন্তু কেউ বলছে দাম কমেনি আবার কেউ বলছে দাম বেড়েছে আবার অনেকে বলছে আগের দামেই আছে ফলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ দ্বিধাদ্বন্দ্বে মধ্যে আছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

অস্বাভাবিক উত্থানের পর ফের বড় ধরনের দরপতনের মুখে পড়েছে স্বর্ণের দাম

Update Time : ১১:২৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

খোঁজ খবর ডেস্কঃ বিশ্ববাজারে দফায় দফায় কমছে মূল্যবান এই ধাতুর দাম। অস্বাভাবিক উত্থানের পর ফের বড় ধরনের দরপতনের মুখে পড়েছে স্বর্ণের দাম। যার ফলে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনা বিক্রি হতে দেখা যায় ১৮৫৬.৬২ ডলারে; যা আগের দিনের চেয়ে ১১.৪২ ডলার কম।

বিশেজ্ঞরা মনে করছেন, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার কমানোয় এবং নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র ডলার শক্তিশালী করার চেষ্টা করায় স্বর্ণের এই দরপতন হচ্ছে। বিশেজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন দৌরাত্ম্যের কারণে স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ডলারের পতন এবং স্বর্ণের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনে চীনের হাত ছিল। এখন নির্বাচনের আগে ট্রাম্প ডলার শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এর সঙ্গে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার কমিয়েছে। আবার অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে কিছু জুয়াড়ি স্বর্ণ বিক্রির চাপ বাড়িয়েছে। স্বর্ণ বিক্রি করে তাদের একটি অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছেন। এ সবকিছু মিলে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বড় ধরনের দরপতন ঘটে সোনার বাজারে। ওই দিন ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমে ৩৮.৬৮ ডলার। বুধবার দিন শেষে সোনার দাম দাঁড়ায় ১৮৬১.৯০ ডলার/আউন্স। এরপর দিন আবার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। বৃহস্পতিবার (গতকাল) প্রতি আউন্স সোনার দাম বাড়ে ৬.১৫ ডলার। গতকাল লেনদেন শেষ হয় ১৮৬৮.০৪ ডলারে। গোল্ডপ্রাইসের তথ্যে দেখা যায়, গেল ৩০ দিনের ব্যবধানের প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে ১৪.১২ শতাংশ। তবে, গেল ৬ মাসের ব্যবধানের প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৫৮.৪৯ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বর্ণের বাজার এখন অনেকটাই জুয়ার আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্বর্ণের দাম কখন কোন দিকে যাচ্ছে, কোনো ধারণা করা যাচ্ছে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্বর্ণের প্রকৃত ব্যবসায়ীরা। একদিকে দেশের বাজারে স্বর্ণের অলঙ্কারের ক্রেতা নেই, অন্যদিকে বাড়তি দামে স্বর্ণ কেনার পর দাম কমায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। বিশ্ববাজার ও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমার কারণ হিসেবে অনেকে মনে করছেন, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার কমিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগে ট্রাম্প ডলার শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার এটিই অন্যতম কারণ। আর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার কারণে বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে।

স্বর্ণের দামের বিষয়ে এক জুয়েলার্সের মালিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, বর্তমানে আমাদের বাজারে স্বর্ণের যে দাম আছে, তা বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার কারণে আমাদের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। এতে আমরা স্বর্ণের অলঙ্কার ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছি। কারণ বেশি দামে স্বর্ণ কিনে এখন আমাদের কম দামে স্বর্ণ বিক্রি করতে হবে।

পল্টনে স্বর্ণ কিনতে আসা ইশরাত বেগম নামে একজন ক্রেতা জানান, স্বর্ণের দাম নিয়ে আমরা যারা সাধারণ পাবলিক আমাদের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে। ভাবলাম কিছু গহনা কিনবো কিন্তু কেউ বলছে দাম কমেনি আবার কেউ বলছে দাম বেড়েছে আবার অনেকে বলছে আগের দামেই আছে ফলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ দ্বিধাদ্বন্দ্বে মধ্যে আছেন।