সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁর রাণীনগরে রেলওয়ের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৪৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৮৩ Time View

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর রেলওয়ে ষ্টেশনের জায়গা থেকে আড়াইশতাধীক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার মো: নুরুজ্জামন মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাণীনগর রেলওয়ে লাইনের পশ্চিম পাশ দিয়ে নওগাঁ-নাটোর মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এই সড়কের দুই পাশ দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নিচুঁ ডোবা ছিল। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা ও প্রভাবশলীদের ছত্রছায়ায় ডোবায় মাটি কেটে ভরাট করে ২৮৪ টি ইটের তৈরি ভবন নির্মাণ করে দোকানপাঠ বসায়। এ ব্যাপারে রেলওয়ের কর্মকর্তারা বার বার বাধা দিয়েও অবৈধ দখল ও স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করতে পারেনি। ফলে গত প্রায় একমাস আগে মাইকিং করে স্থাপনা অপসারণ করার নির্দেশ দিলেও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকার কারনে নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে ব্যবসা করে আসছিল। এরই মধ্যে গত ১০/১২ দিন আগে লিখিত এবং আবারো মাইকিং করে স্থাপনা অপসারণ করতে বলা হলেও ভবনগুলো অপসারণ করা হয়নি। ফলে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার মো: নুরুজ্জামন অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা স্কেবেটার মেশিন দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া শুরু করেন।

অবৈধ স্থাপনা নির্মানকারী মামুন হোসেন জানান, স্থাপনা নির্মানকারীদের বৈধ কাগজপত্র করে দেয়া হবে স্থানীয় এমপি মরহুম ইসরাফিল আলমের এমন আস্বাশে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ইট দিয়ে চারটি দোকান ঘড় নির্মান করেছেন। কিন্তু স্থাপনা উচ্ছেদের কারনে পথে বসেছেন। এমন কথা জানিয়েছেন আরো কয়েকজন। তারা বলছেন, স্থাপনা উচ্ছেদে কয়েকশ পরিবার আজ পথে বসল। কিভাবে তারা চলবেন, কিভাবে সংসার ছেলে/মেয়ে পরিবার চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তাই ঘুম হারাম হয়ে গেল।

অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার মো: নুরুজ্জামন জানান, দখল এবং অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের সময় আমরা বারবার বন্ধ করতে এবং দখল মুক্ত করতে তাগিদ এবং মাইকিং করেও কোন ফল হয়নি। তাই অভিযান পরিচালনা করে রেলওয়ের জায়গা অবৈধ দখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কেউ অবৈধভাবে রেলওয়ের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

নওগাঁর রাণীনগরে রেলওয়ের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

Update Time : ০৭:৪৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর রেলওয়ে ষ্টেশনের জায়গা থেকে আড়াইশতাধীক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার মো: নুরুজ্জামন মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাণীনগর রেলওয়ে লাইনের পশ্চিম পাশ দিয়ে নওগাঁ-নাটোর মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এই সড়কের দুই পাশ দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নিচুঁ ডোবা ছিল। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা ও প্রভাবশলীদের ছত্রছায়ায় ডোবায় মাটি কেটে ভরাট করে ২৮৪ টি ইটের তৈরি ভবন নির্মাণ করে দোকানপাঠ বসায়। এ ব্যাপারে রেলওয়ের কর্মকর্তারা বার বার বাধা দিয়েও অবৈধ দখল ও স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করতে পারেনি। ফলে গত প্রায় একমাস আগে মাইকিং করে স্থাপনা অপসারণ করার নির্দেশ দিলেও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকার কারনে নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে ব্যবসা করে আসছিল। এরই মধ্যে গত ১০/১২ দিন আগে লিখিত এবং আবারো মাইকিং করে স্থাপনা অপসারণ করতে বলা হলেও ভবনগুলো অপসারণ করা হয়নি। ফলে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার মো: নুরুজ্জামন অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা স্কেবেটার মেশিন দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া শুরু করেন।

অবৈধ স্থাপনা নির্মানকারী মামুন হোসেন জানান, স্থাপনা নির্মানকারীদের বৈধ কাগজপত্র করে দেয়া হবে স্থানীয় এমপি মরহুম ইসরাফিল আলমের এমন আস্বাশে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ইট দিয়ে চারটি দোকান ঘড় নির্মান করেছেন। কিন্তু স্থাপনা উচ্ছেদের কারনে পথে বসেছেন। এমন কথা জানিয়েছেন আরো কয়েকজন। তারা বলছেন, স্থাপনা উচ্ছেদে কয়েকশ পরিবার আজ পথে বসল। কিভাবে তারা চলবেন, কিভাবে সংসার ছেলে/মেয়ে পরিবার চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তাই ঘুম হারাম হয়ে গেল।

অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার মো: নুরুজ্জামন জানান, দখল এবং অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের সময় আমরা বারবার বন্ধ করতে এবং দখল মুক্ত করতে তাগিদ এবং মাইকিং করেও কোন ফল হয়নি। তাই অভিযান পরিচালনা করে রেলওয়ের জায়গা অবৈধ দখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কেউ অবৈধভাবে রেলওয়ের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।