বিশেষ প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই নামাজ পড়ি। কুরআন তিলাওয়াত করি। এরপর এক কাপ চা নিজেই বানাই। আমার চা টা আমিই বানাই। নিজের চা-কফি নিজেই বানিয়ে খাই। এরপরে বই পড়ি। সকালে একটু হাঁটতে বের হই। তবে আরেকটা কাজ করি এখন। গণভবনে একটি লেক আছে। যখন হাঁটতে যাই, লেকের পাড়ে বসি, তখন একটা ছিপ নিয়ে বসি, লেকে মাছও ধরি। বাসায় আমার ছোটবোন থাকে। যে আগে ওঠে সে চা বানায়। এখন আমার মেয়ে পুতুল আছে। যে ঘুম থেকে আগে ওঠে সেই বানায়। আমরা নিজেরা করে খাই। এর আগে নিজের বিছানা থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে বিছানাটা গুছিয়ে রাখি নিজের হাতে। আজ বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান।
বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য সংসদে ফখরুল ইমাম বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন ‘আপনি চাকরি করেন, আপনার মাইনা দেয় এই গরিব কৃষক, আপনার মাইনা দেয় এই জমির শ্রমিক। আপনার সংসার চলে এই টাকায়। আমি গাড়ি চড়ি ওই টাকায়। ওদের সম্মান করে কথা বলেন। ওদের ইজ্জত করে কথা বলেন, ওরাই মালিক।’ এখন সরকার কথাগুলোর ওপর ভরসা করে কিনা। এ বিষয়ে সংসদ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরাও কিন্তু এটাই বিশ্বাস করি। আমরা ছোটবেলা থেকে সেভাবেই শিক্ষা নিয়েছি। আমার বাবার নির্দেশ ছিল। একজন রিকশাওয়ালাকে আপনি করে কথা বলতে হবে। বাড়ির ড্রাইভারকে ড্রাইভার সাহেব বলতে হবে। আর কাজের যারা লোকজন, তাদের কখনও চাকর-বাকর বলা যাবে না। হুকুম দেওয়া যাবে না। তাদের কাছে সম্মান করে চাইতে হবে। প্রধানমন্ত্রী হতে পারি, এখনও কারও কাছে যদি এক গ্লাস পানিও চাইতে হয় (যতটুকু পারি নিজেই করে খাই) তাদের জিজ্ঞেস করি আমাকে এক গ্লাস পানি দিতে পারবে? এই শিক্ষাটা আমরা নিয়ে এসেছি। এখনও মেনে চলি। এটা বাবারই শিক্ষা। শুধু তিনি বলে গেছেন তা না।এই শিক্ষাটা আমাদের দিয়েও গেছেন। কাজেই সেই দিক থেকে আমি মনে করি মানুষ গরিব দেখলে বা ভালো পোশাক না পড়লে তাকে অবহেলা করতে পারে, কিন্তু আমাদের কাছে কিন্তু সেটা না। আমাদের কাছে সবাই সমান সমাদর পায়। বরং যাদের কিছু নাই, তাদের দিকে আমরা একটু বেশি নজর দিই দেই।