সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিজার্ভের রেকর্ড: প্রবাসীদের ধন্যবাদ দিলেন অর্থমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:২০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৫০ Time View

বিশেষ প্রতিবেদকঃ বিদেশ থেকে বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, রেমিটেন্সের প্রভাবে রিজার্ভের যে রেকর্ড হচ্ছে তা প্রবাসী ভাই- বোনদের অর্জন, প্রবাসীদের ধন্যবাদ। এতে এই দেশ, তারা নিজেরা এবং তাদের পরিবার লাভবান হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী গত বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, গত দুই মাসে রেমিটেন্স প্রায় ৫০ ভাগ বেড়েছে। এটা একটি অবিশ্বাস্য বিষয়। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি জানান, সরকার রেমিটেন্সের উপর বাজেটে সামান্য সহায়তা দিয়েছে। আর এ কারণেই রেমিটেন্সের এই উস্ফলন। এখন বৈধপথে রেমিটেন্স আসছে, প্রবাসীরা সাদা টাকার মালিক হচ্ছেন, জাতীয় অর্থনীতিতে তাদের অবদান বাড়ছে। প্রায় ১৮শ’ কোটি টাকার ১০টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে কমিটির সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা সংযুক্ত হয়েছেন। এছাড়া ভার্চুয়াল বৈঠকে ১০টি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই একের পরে এক রেকর্ড গড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ। প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে করেছে।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ১ সেপ্টেম্বর দিনের শুরুতে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন বা তিন হাজার ৯৪০ কোটি ডলারে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ তিন লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে (ডলার ৮৪ টাকা ধরে)। প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় ধরে মজুত এই বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে প্রায় সাড়ে ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। এছাড়া গত অর্থবছর রেমিটেন্সের ওপর ঘোষিত ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকেই বেধ চ্যানেলে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়তে থাকে। চলতি (২০২০-২১) অর্থবছরেও রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এরপর থেকেই বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়তে থাকে।

১০ ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন : বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় ১০টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৯৫ কোটি ১৬ লাখ ১২ হাজার ২২ টাকা। উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে-সার ক্রয় সংক্রান্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি, সেতু বিভাগের ঢাকা এলিভেটেট এক্সপ্রেস সংক্রান্ত ১টি, পুলিশের জন্য ৯টি আবাসিক টাওয়ার নির্মাণ, মোংলা বন্দর ড্রেজিং, বিদ্যুৎ সংক্রান্ত দুটি এবং এলএনজি আমদানি সংক্রান্ত ১টি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক পাচ্ছেন ২ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান

রিজার্ভের রেকর্ড: প্রবাসীদের ধন্যবাদ দিলেন অর্থমন্ত্রী

Update Time : ০৯:২০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিশেষ প্রতিবেদকঃ বিদেশ থেকে বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, রেমিটেন্সের প্রভাবে রিজার্ভের যে রেকর্ড হচ্ছে তা প্রবাসী ভাই- বোনদের অর্জন, প্রবাসীদের ধন্যবাদ। এতে এই দেশ, তারা নিজেরা এবং তাদের পরিবার লাভবান হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী গত বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, গত দুই মাসে রেমিটেন্স প্রায় ৫০ ভাগ বেড়েছে। এটা একটি অবিশ্বাস্য বিষয়। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি জানান, সরকার রেমিটেন্সের উপর বাজেটে সামান্য সহায়তা দিয়েছে। আর এ কারণেই রেমিটেন্সের এই উস্ফলন। এখন বৈধপথে রেমিটেন্স আসছে, প্রবাসীরা সাদা টাকার মালিক হচ্ছেন, জাতীয় অর্থনীতিতে তাদের অবদান বাড়ছে। প্রায় ১৮শ’ কোটি টাকার ১০টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে কমিটির সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা সংযুক্ত হয়েছেন। এছাড়া ভার্চুয়াল বৈঠকে ১০টি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই একের পরে এক রেকর্ড গড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ। প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে করেছে।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ১ সেপ্টেম্বর দিনের শুরুতে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন বা তিন হাজার ৯৪০ কোটি ডলারে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ তিন লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে (ডলার ৮৪ টাকা ধরে)। প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় ধরে মজুত এই বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে প্রায় সাড়ে ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। এছাড়া গত অর্থবছর রেমিটেন্সের ওপর ঘোষিত ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকেই বেধ চ্যানেলে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়তে থাকে। চলতি (২০২০-২১) অর্থবছরেও রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এরপর থেকেই বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়তে থাকে।

১০ ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন : বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় ১০টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৯৫ কোটি ১৬ লাখ ১২ হাজার ২২ টাকা। উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে-সার ক্রয় সংক্রান্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি, সেতু বিভাগের ঢাকা এলিভেটেট এক্সপ্রেস সংক্রান্ত ১টি, পুলিশের জন্য ৯টি আবাসিক টাওয়ার নির্মাণ, মোংলা বন্দর ড্রেজিং, বিদ্যুৎ সংক্রান্ত দুটি এবং এলএনজি আমদানি সংক্রান্ত ১টি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।