চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার চাটমোহরে গৃহবধুকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা দায়েরের পর সোমবার (৩ আগষ্ট) ভোরে সোর্স মিজানকে আটক করে পুলিশ। সে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের রামনগর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে। এর আগে রোববার রাতে ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মিজানের বিভিন্ন অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। এদিকে মিজানের গ্রেফতারের খবরে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছে স্থানীয়রা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, একই উপজেলার বোঁথর গ্রামের জনৈক এক প্রবাসীর স্ত্রী বেশকিছুদিন ধরে ধূলাউড়ি গ্রামে বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলেন। গত ২৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই গৃহবধূ বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে ভ্যানের জন্য অপেক্ষা করার সময় মিজানসহ অজ্ঞাত কয়েকজন যুবক জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশাতে তুলে ওই গৃহবধূকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। গৃহবধূর স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর মিজানের মা আছিয়া বেওয়ার বাড়ি থেকে ৩দিন পর তাকে উদ্ধার করেন। মিজান ওই গৃহবধূকে আটকে রাখাকালীন সময়ে জোর পূর্বক কয়েকবার ধর্ষণ করে।
এ ঘটনার পর রোববার রাতে ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে মিজানকে প্রধান আসামী করে থানায় অপরহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মিজানকে আটকের পর গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চাটমোহর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম।
এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, একসময়ের ভ্যান চালক মিজান দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নিজেকে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে নানা অপরাধ কর্মকান্ড করতো। প্রতিনিয়ত থানায় যাতায়াত ছিল তার। ছিল মাদক সংশ্লিষ্টতাও। পুলিশের কথা বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধ সুবিধা নেয়া থেকে শুরু করে সব অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল মিজান। রাতারাতি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া মিজান অতিসম্প্রতি করেছেন বিশাল পাকা দালান বাড়ি। তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খোলার সাহস পেতেন না।
এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন বলেন, শুনেছি মিজান নামের ওই ব্যক্তির একসময় থানায় যাতায়াত ছিল। তার নামে বেশ কিছু অভিযোগও রয়েছে। তবে জনৈক এক প্রবাসীর স্ত্রীকে জোর করে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরর পর তাকে আটক করা হয়েছে।