বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ, ৫ ধর্ষকসহ প্রেমিককে গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:১৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০
  • ১৬১ Time View

গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী রোববার (২৬ জুলাই) গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে রাত তিনটায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে ধর্ষিতার অভিযোগ পাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৫ ধর্ষকসহ ওই ছাত্রীর প্রেমিককে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষকরা হলো, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাওভাংগা এলাকার নীল মাহমুদের ছেলে এনামুল হক (৩০), আজিম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল (৩২), ভোলা মিয়ার ছেলে ধলু (২৫), এজদুর রহমানের ছেলে সুমন মিয়া (২৩) ও সাহারুল কাজীর ছেলে সাদ্দাম ওরফে সুজন কাজী (২৬) ও প্রেমিক শিমুল মিয়া(২১)।

পুলিশ জানায়, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী পালিয়ে বিয়ের উদ্দেশ্যে তার প্রেমিক শিমুল মিয়ার সাথে রোববার রাত ১২টায় দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় পথে তারা ওই ৫ ধর্ষকের খপ্পরে পড়ে। তারা শিমুল মিয়াকে মারপিট করে তার কাছ থেকে ওই ছাত্রীকে ছিনিয়ে নিয়ে নাওডাঙ্গা গ্রামে ধর্ষক ধলুর বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। পরে ওই বাড়িতেই রাত ২টা পর্যন্ত ওই ৫ ধর্ষক ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

পরে তাদের খপ্পর থেকে মুক্তি পেয়ে স্কুল ছাত্রীটি তার প্রেমিক শিমুল মিয়াসহ গোবিন্দগঞ্জ থানায় এসে গণধর্ষণের বিষয়টি অবহিত করে। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে এসআই মামুনের নেতৃত্বে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশের একটি টিম ওই ধর্ষিত ছাত্রীকে নিয়ে নাওডাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে ধর্ষক ধলুকে বাড়ি থেকে আটক করে। পরে ধলুর স্বীকারোক্তি মোতাবেক অপর ৪ ধর্ষককেই দুই ঘণ্টার মধ্যেই আটক করে পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় ৫ ধর্ষকের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া প্রেমিক শিমুল মিয়ার বিরুদ্ধে অপহরণের উদ্দেশ্যে ছাত্রীটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ায় অভিযোগে তার বিরুদ্ধেও আলাদা মামলা দায়ের হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান জানান, ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া আদালতে ভুক্তভোগীর জুডিশিয়াল জবানবন্দি ও আসামিদের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ, ৫ ধর্ষকসহ প্রেমিককে গ্রেপ্তার

Update Time : ০১:১৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০

গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী রোববার (২৬ জুলাই) গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে রাত তিনটায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে ধর্ষিতার অভিযোগ পাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৫ ধর্ষকসহ ওই ছাত্রীর প্রেমিককে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষকরা হলো, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাওভাংগা এলাকার নীল মাহমুদের ছেলে এনামুল হক (৩০), আজিম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল (৩২), ভোলা মিয়ার ছেলে ধলু (২৫), এজদুর রহমানের ছেলে সুমন মিয়া (২৩) ও সাহারুল কাজীর ছেলে সাদ্দাম ওরফে সুজন কাজী (২৬) ও প্রেমিক শিমুল মিয়া(২১)।

পুলিশ জানায়, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী পালিয়ে বিয়ের উদ্দেশ্যে তার প্রেমিক শিমুল মিয়ার সাথে রোববার রাত ১২টায় দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় পথে তারা ওই ৫ ধর্ষকের খপ্পরে পড়ে। তারা শিমুল মিয়াকে মারপিট করে তার কাছ থেকে ওই ছাত্রীকে ছিনিয়ে নিয়ে নাওডাঙ্গা গ্রামে ধর্ষক ধলুর বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। পরে ওই বাড়িতেই রাত ২টা পর্যন্ত ওই ৫ ধর্ষক ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

পরে তাদের খপ্পর থেকে মুক্তি পেয়ে স্কুল ছাত্রীটি তার প্রেমিক শিমুল মিয়াসহ গোবিন্দগঞ্জ থানায় এসে গণধর্ষণের বিষয়টি অবহিত করে। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে এসআই মামুনের নেতৃত্বে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশের একটি টিম ওই ধর্ষিত ছাত্রীকে নিয়ে নাওডাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে ধর্ষক ধলুকে বাড়ি থেকে আটক করে। পরে ধলুর স্বীকারোক্তি মোতাবেক অপর ৪ ধর্ষককেই দুই ঘণ্টার মধ্যেই আটক করে পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় ৫ ধর্ষকের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া প্রেমিক শিমুল মিয়ার বিরুদ্ধে অপহরণের উদ্দেশ্যে ছাত্রীটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ায় অভিযোগে তার বিরুদ্ধেও আলাদা মামলা দায়ের হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান জানান, ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া আদালতে ভুক্তভোগীর জুডিশিয়াল জবানবন্দি ও আসামিদের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।