লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ সপ্তাহ খানেক ধরে উজানে টানা বর্ষণে তিস্তার পানি আবারও বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ২৮ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) রাত থেকে আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে তিস্তার পানি প্রবাহ। যা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তার তীরবর্তী জেলার হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার পাটগ্রাম উপজেলা ও হাতীবান্ধা উপজেলা সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি, সিংগিমারী, পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
এ দিকে হঠাৎ তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি দেখে তিস্তাপাড়ের মানুষ বড় বন্যার আশঙ্কা করলেও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দাবি এবার বড় ধরনের বন্যার কোন আশঙ্কা নেই। বৃষ্টির কারণে উজানের পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে হঠাৎ ভারতের গজলডোবা গেট খুলে দেয়ায় ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তায় পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সৃষ্ট বন্যায় চরাঞ্চলের ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। তিস্তার তীরবর্তী চরাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবারগুলো নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
চরাঞ্চলের মানুষেরা গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বৃদ্ধি পায় তিস্তার পানি। ফলে তারা পনিবন্দি হয়ে পড়েন। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ শুক্রবার বাড়তে থাকে। সন্ধ্যায় ৬টায় বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজ রক্ষার্থে ৪৪ টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।