মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ॥ ৪টি উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:০০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
  • ১৮৫ Time View

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়ছে মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৪৭ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তার পানি বিপদসীমার খুব কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


জেলায় ৪টি উপজেলার সুন্দরগঞ্জের ৭টি ইউনিয়ন, গাইবান্ধা সদরের ৩টি, ফুলছড়ির ৬টি ও সাঘাটার ৩টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার লোক এখন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। কোথাও কোথাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। ফুলছড়ি উপজেলার রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির জানালার অর্ধে ক যুবে গেছে। বিদ্যালয়ের ছাদে আশ্রয় নিয়েছে বানভাসি মানুষ। এদিকে গাইবান্ধা-বালাসীঘাট পাকা সড়কটির আধা কিলোমিটার এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সড়কের উপর দিয়ে এখন নৌকা চলাচল করছে।


বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জের তারাপুর, বেলকা, কঞ্চিপাড়া, হরিপুর, কাপাসিয়া, শ্রীপুর ও চন্ডিপুর, সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর ও গিদারী, ফুলছড়ির এরেন্ডবাড়ি, ফজলুপুর, ফুলছড়ি, গজারিয়া, উড়িয়া ও উদাখালী এবং সাঘাটার ভরতখালী, ঘুড়িদহ ও হলদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। বাড়িঘরে পানি ওঠায় ওইসব বন্যা কবলিত মানুষ গবাদিপশু নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ অথবা উঁচু স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। সেখানে বিশুদ্ধ পানি ও পয় নিস্কাশনের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এদিকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে ৪টি উপজেলার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

তেঁতুলিয়ায় ক্ল ুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন, বীরগঞ্জ থেকে আসামি আটক

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ॥ ৪টি উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দী

Update Time : ০৮:০০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়ছে মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৪৭ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তার পানি বিপদসীমার খুব কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


জেলায় ৪টি উপজেলার সুন্দরগঞ্জের ৭টি ইউনিয়ন, গাইবান্ধা সদরের ৩টি, ফুলছড়ির ৬টি ও সাঘাটার ৩টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার লোক এখন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। কোথাও কোথাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। ফুলছড়ি উপজেলার রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির জানালার অর্ধে ক যুবে গেছে। বিদ্যালয়ের ছাদে আশ্রয় নিয়েছে বানভাসি মানুষ। এদিকে গাইবান্ধা-বালাসীঘাট পাকা সড়কটির আধা কিলোমিটার এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সড়কের উপর দিয়ে এখন নৌকা চলাচল করছে।


বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জের তারাপুর, বেলকা, কঞ্চিপাড়া, হরিপুর, কাপাসিয়া, শ্রীপুর ও চন্ডিপুর, সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর ও গিদারী, ফুলছড়ির এরেন্ডবাড়ি, ফজলুপুর, ফুলছড়ি, গজারিয়া, উড়িয়া ও উদাখালী এবং সাঘাটার ভরতখালী, ঘুড়িদহ ও হলদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। বাড়িঘরে পানি ওঠায় ওইসব বন্যা কবলিত মানুষ গবাদিপশু নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ অথবা উঁচু স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। সেখানে বিশুদ্ধ পানি ও পয় নিস্কাশনের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এদিকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে ৪টি উপজেলার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।