বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাতারে করোনা আক্রান্ত হয়ে সাদুল্লাপুরের যুবকের মৃত্যু

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৪১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০
  • ২১৭ Time View

সাদুল্লাপুর প্রতিনিধি: কাতারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার হুমায়ুন কবীর (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জুন) দুপুরে নিহত হুমায়ুন কবীরের পিতা আলম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তার বাড়ি সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামে।

স্বজনরা জানান, পরিবারে চার ভাই-বোনের মধ্যে হুমায়ুন কবীরই সবার বড়। পিতার অসচ্ছল সংসারে সচ্ছলতা ফিরে আনার স্বপ্ন দেখেন হুমায়ুন কবীর। এরপর পিতার সহায়-সম্বল যেটুকু ছিল, সেটি বিক্রি করে এক বছর আগে কাতারে যান হুমায়ুন কবীর। সেখানে স্মিথ নামের একটি ট্রেডিং কোমম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কাতারের হমাত হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জুন হুমায়ুন কবীর মারা যায়। এসময় তার সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

হুমায়ুন কবীরের প্রাণহানীর ১৬ দিন পর মৃত্যুর খবর জানতে পায় তার পরিবার। পরে বাংলাদেশ দুতাবাসের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে হুমাইয়ুন কবীরের মরদেহ গ্রামের বাড়িছে পৌঁছানো হয়। এরপর জানাজা নামাজ শেষে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পারিবারীক কবরস্থানে তাকে সমায়িত করা হয়েছে।

নিহত হুমায়ুন কবীরের পিতা আলম মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, যেটুকু সহায়-সম্বল ছিল তা বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তার মৃত্যু পরিবারের সবাই দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এমন কি নিজেও কিডনী জনিত রোগে শয্যসায়ী। এখন কীভাবে সংসার চলবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

কাতারে করোনা আক্রান্ত হয়ে সাদুল্লাপুরের যুবকের মৃত্যু

Update Time : ০৭:৪১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০

সাদুল্লাপুর প্রতিনিধি: কাতারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার হুমায়ুন কবীর (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জুন) দুপুরে নিহত হুমায়ুন কবীরের পিতা আলম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তার বাড়ি সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামে।

স্বজনরা জানান, পরিবারে চার ভাই-বোনের মধ্যে হুমায়ুন কবীরই সবার বড়। পিতার অসচ্ছল সংসারে সচ্ছলতা ফিরে আনার স্বপ্ন দেখেন হুমায়ুন কবীর। এরপর পিতার সহায়-সম্বল যেটুকু ছিল, সেটি বিক্রি করে এক বছর আগে কাতারে যান হুমায়ুন কবীর। সেখানে স্মিথ নামের একটি ট্রেডিং কোমম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কাতারের হমাত হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জুন হুমায়ুন কবীর মারা যায়। এসময় তার সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

হুমায়ুন কবীরের প্রাণহানীর ১৬ দিন পর মৃত্যুর খবর জানতে পায় তার পরিবার। পরে বাংলাদেশ দুতাবাসের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে হুমাইয়ুন কবীরের মরদেহ গ্রামের বাড়িছে পৌঁছানো হয়। এরপর জানাজা নামাজ শেষে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পারিবারীক কবরস্থানে তাকে সমায়িত করা হয়েছে।

নিহত হুমায়ুন কবীরের পিতা আলম মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, যেটুকু সহায়-সম্বল ছিল তা বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তার মৃত্যু পরিবারের সবাই দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এমন কি নিজেও কিডনী জনিত রোগে শয্যসায়ী। এখন কীভাবে সংসার চলবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।