
খোঁজ খবর রিপোর্টঃ উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং বৃষ্টির কারণে গাইবান্ধা জেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত সবকটি নদ-নদীর পানি হুহু করে বাড়ছে। আজ সন্ধ্যা ৬টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করে ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ গাইবান্ধায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ মিলিমিটার।
পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনার ২৫৫টি চরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। অনেকের বাড়ি ঘরে পানি উঠতে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে নদী চরের মানুষগুলো। এসব এলাকার বসতবাড়ির লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সেইসঙ্গে পাট, পটল, কাঁচামরিচ ও শাক-সবজির ক্ষেতসহ সদ্য রোপণকৃত বীজতলা তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে কয়েকটি পয়েন্টে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহাতাব উদ্দিন জানান, পানি বৃদ্ধি কারণে নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক কয়েক হাজার মানুষ। পানি বৃদ্ধি সাথে সাথে গত কয়েকদিনের ভাঙনে উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া ও কাবিলপুর এলাকার ৪৬টি পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল মতিন জানান, বন্যার কারণে যে কোন সমস্যা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে বৈঠকসহ সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ জানিয়েছেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে বন্যার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় সকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের মেডিকেল টিমসহ প্রয়োজনীয় জরুরী মজুত নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং বন্যা দুর্গত এলাকায় জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রস্তুতি নেয়ার জন্যও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রে পানি বৃদ্ধির কারণে জেলায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে চর গুলোর বাড়িঘরে পানি উঠতে শুরু করেছে। নদ-নদী গুলোতে আগামী ৫ থেকে ৬ দিন বাড়তে পারে।