বিশেষ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও এনায়েতপুরে নৌ পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করে কারেন্ট জাল দিয়ে অবাধে মাছ ধরার অভিযোগ উঠে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে এই অঞ্চলে মাছের উৎপাদন অনেক কমে যাবে। অবিলম্বে কারেন্ট জালের ব্যবহার কমাতে নৌ পুলিশকে বাদ দিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তারা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নৌ পুলিশ সদস্যরা যেভাবে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে তাতে তাদের দ্বারা কারেন্ট জালের ব্যবহার বন্ধ সম্ভব নয়।
সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী এনায়েতপুর এলাকায় জেলেরা প্রকাশ্যেই বলেছেন, নৌ পুলিশের দাবি পূরণ না করলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এজন্য নৌ-পুলিশের সাথে সমঝোতা করেই তারা কারেন্ট জাল ব্যবহার করেন। মাঝে মধ্যে পুলিশি অভিযানের সম্ভাবনা থাকলে তাদেরকে আগেই সতর্ক করে দেয় নৌ পুলিশ সদস্যরা।
বিষয়গুলো সরাসরি অস্বীকার না করলেও সিরাজগঞ্জ জেলা নৌ পুলিশের ওসি বাবর আলী বলেছেন, স্যাররা নির্দেশনা না দিলে আমরা কোন কাজ করি না। নিজের থেকে অভিযান করলে উর্ধতন স্যারেরা মাইন্ড করেন। এমনিতেই অনেক বড় এলাকা। তার মধ্যে আবার জেলেদের নৌকা গুলো আমাদের নৌকার চেয়ে দ্রুতগতির। আমরা ধাওয়া করেও তাদের কে ধরতে পারিনা । নৌ পুলিশের এই ওসির কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল জেলেদের সঙ্গে আপনাদের যোগসাজশ আছে এটা কি সত্যি ? ওসির তড়িঘড়ি জবাব, ওই এলাকা আমি দেখি না ওটা ফাঁড়ির লোকেরা দেখে। চৌহালী নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রিয়াজুল জান্নাত অবশ্য বলেছেন, আমরা ঐসব এলাকায় টহল করি সত্য কিন্তু কারেন্ট জালের ব্যবহার কখনো আমাদের চোখে পড়েনি।
নৌ পুলিশ জামালপুর জোনের এ এস পি হুমায়ুন কবীর বলেছেন, এ ধরনের অভিযোগ পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। তবে এ মৌসুমে এমন কোনো অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি।