রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৪:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
শিরোনাম:
গাইবান্ধায় জেলা পরিষদ চত্বরে নতুন মসজিদ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভার হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা গাইবান্ধায় ১ হাজার ১৭ ভুমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর শিক্ষার মান উন্নয়নে দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করছে সরকার : ডা. শিমুল এমপি জলবায়ু গণ শুনানি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন ড. আইনুন নিশাত রৌমারীতে ঘর পেয়ে মহাখুশি ভূমিহীন পরিবার গাইবান্ধায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত সাইকেল চালিয়ে ৪ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় তরুণী পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল গাইবান্ধা জেলা পুলিশ গাইবান্ধায় দুর্বল নারীদের সুবিধা কার্ড বিতরণ

ভোলার মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৭ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৬৫ বার পঠিত
প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০২০, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার মনপুরা উপজেলার দেড় লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ৫০ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে রাত হলেই অন্ধকার নেমে আসে। গত ২৭ দিন ধরে রাতে বিদ্যুৎ নেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে। এতে করোনা রোগীসহ সাধারণ ওয়ার্ডের রোগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) এর গাফলতির কারণে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশীদ জানান, ফোনে ও চিঠিতে একাধিকবার বিদ্যুতের প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর আজ পর্যন্ত রাতের বেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিচ্ছে না।

জানা গেছে, উপকূল ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর আওতায় ১৯৯১ সালে ৪০০ কিলোওয়াটের ২টি মেশিনের মাধ্যমে রাতের বেলায় মনপুরা উপজেলা পরিষদসহ বাজারে অল্প কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়া হয়। পরে সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির প্রচেষ্টায় এক মেগাওয়াটের ১টি এবং ৫০০ কিলোওয়াটের আরও ১টি মেশিন সংযুক্ত হলে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরে সন্ধ্যা থেকে বিরতিহীনভাবে রাত দেড়টা পর্যন্ত হাট-বাজার, আবাসিক আট শত গ্রাহক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহ চলে।

এদিকে করোনা রোগী আবদুল মতিন, ব্যবসায়ী গ্রাহক সুমন, মামুন, হেলাল, মহিউদ্দিন, আবাসিক গ্রাহক বেলাল, সুমনদাস, শামসু, মতিনসহ অনেকে বলেন, রাতের বেলায় পাওয়ার হাউসের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎ পাই তা গত ২৭ দিন ধরে পাচ্ছি না। রাতের গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছি। রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা নষ্ট হচ্ছে। আমরা এমপি জ্যাকবের হস্তক্ষেপ কামনা করছি, তিনি যেন দ্রুত এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন।

এ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. নুরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, করোনার জন্য নষ্ট হওয়া মেশিনের যন্ত্রপাতি আনতে দেরি হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মেশিনের কাজ চলছে। জনবল আরও আসবে। চলতি মাসের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, বড় দুটি মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেকদিন ধরে বিদ্যুতের সমস্যা। বিষয়টি বিদ্যুতের আবাসিক প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও নষ্ট মেশিনের কাজ চলছে। দ্রুত বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান হবে তিনি জানান।


এ জাতীয় আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর