সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোলার মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৭ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:১৭:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০
  • ২১২ Time View

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার মনপুরা উপজেলার দেড় লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ৫০ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে রাত হলেই অন্ধকার নেমে আসে। গত ২৭ দিন ধরে রাতে বিদ্যুৎ নেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে। এতে করোনা রোগীসহ সাধারণ ওয়ার্ডের রোগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) এর গাফলতির কারণে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশীদ জানান, ফোনে ও চিঠিতে একাধিকবার বিদ্যুতের প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর আজ পর্যন্ত রাতের বেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিচ্ছে না।

জানা গেছে, উপকূল ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর আওতায় ১৯৯১ সালে ৪০০ কিলোওয়াটের ২টি মেশিনের মাধ্যমে রাতের বেলায় মনপুরা উপজেলা পরিষদসহ বাজারে অল্প কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়া হয়। পরে সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির প্রচেষ্টায় এক মেগাওয়াটের ১টি এবং ৫০০ কিলোওয়াটের আরও ১টি মেশিন সংযুক্ত হলে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরে সন্ধ্যা থেকে বিরতিহীনভাবে রাত দেড়টা পর্যন্ত হাট-বাজার, আবাসিক আট শত গ্রাহক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহ চলে।

এদিকে করোনা রোগী আবদুল মতিন, ব্যবসায়ী গ্রাহক সুমন, মামুন, হেলাল, মহিউদ্দিন, আবাসিক গ্রাহক বেলাল, সুমনদাস, শামসু, মতিনসহ অনেকে বলেন, রাতের বেলায় পাওয়ার হাউসের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎ পাই তা গত ২৭ দিন ধরে পাচ্ছি না। রাতের গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছি। রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা নষ্ট হচ্ছে। আমরা এমপি জ্যাকবের হস্তক্ষেপ কামনা করছি, তিনি যেন দ্রুত এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন।

এ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. নুরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, করোনার জন্য নষ্ট হওয়া মেশিনের যন্ত্রপাতি আনতে দেরি হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মেশিনের কাজ চলছে। জনবল আরও আসবে। চলতি মাসের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, বড় দুটি মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেকদিন ধরে বিদ্যুতের সমস্যা। বিষয়টি বিদ্যুতের আবাসিক প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও নষ্ট মেশিনের কাজ চলছে। দ্রুত বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান হবে তিনি জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

তেঁতুলিয়ায় ক্ল ুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন, বীরগঞ্জ থেকে আসামি আটক

ভোলার মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৭ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই

Update Time : ০৯:১৭:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার মনপুরা উপজেলার দেড় লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ৫০ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে রাত হলেই অন্ধকার নেমে আসে। গত ২৭ দিন ধরে রাতে বিদ্যুৎ নেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে। এতে করোনা রোগীসহ সাধারণ ওয়ার্ডের রোগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) এর গাফলতির কারণে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশীদ জানান, ফোনে ও চিঠিতে একাধিকবার বিদ্যুতের প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর আজ পর্যন্ত রাতের বেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিচ্ছে না।

জানা গেছে, উপকূল ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর আওতায় ১৯৯১ সালে ৪০০ কিলোওয়াটের ২টি মেশিনের মাধ্যমে রাতের বেলায় মনপুরা উপজেলা পরিষদসহ বাজারে অল্প কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়া হয়। পরে সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির প্রচেষ্টায় এক মেগাওয়াটের ১টি এবং ৫০০ কিলোওয়াটের আরও ১টি মেশিন সংযুক্ত হলে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরে সন্ধ্যা থেকে বিরতিহীনভাবে রাত দেড়টা পর্যন্ত হাট-বাজার, আবাসিক আট শত গ্রাহক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহ চলে।

এদিকে করোনা রোগী আবদুল মতিন, ব্যবসায়ী গ্রাহক সুমন, মামুন, হেলাল, মহিউদ্দিন, আবাসিক গ্রাহক বেলাল, সুমনদাস, শামসু, মতিনসহ অনেকে বলেন, রাতের বেলায় পাওয়ার হাউসের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎ পাই তা গত ২৭ দিন ধরে পাচ্ছি না। রাতের গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছি। রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা নষ্ট হচ্ছে। আমরা এমপি জ্যাকবের হস্তক্ষেপ কামনা করছি, তিনি যেন দ্রুত এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন।

এ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. নুরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, করোনার জন্য নষ্ট হওয়া মেশিনের যন্ত্রপাতি আনতে দেরি হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মেশিনের কাজ চলছে। জনবল আরও আসবে। চলতি মাসের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, বড় দুটি মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেকদিন ধরে বিদ্যুতের সমস্যা। বিষয়টি বিদ্যুতের আবাসিক প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও নষ্ট মেশিনের কাজ চলছে। দ্রুত বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান হবে তিনি জানান।