
স্টাফ রিপোর্টারঃ সরকার নির্ধারিত রেট ১০৪০ টাকায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ধান ক্রয় ,অস্থায়ী ওএমএস কার্ড বাতিল করে স্থায়ী রেশন কার্ডে রুপান্তর, ঋণের উপর কিস্তি আদায় বন্ধের সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি উপেক্ষা করে ঋন আদায়কারীদের শাস্তির দাবি,সকল প্রকার কৃষিঋণের সুদ মওকুপের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি গাইবান্ধা জেলা কমিটির উদ্যোগে শহরের ১নং ট্রাফিকমোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত পর্যন্ত শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষক সমিতির সহ-সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল,সাধারণ সম্পাদক ছাদেকুল ইসলাম, সিপিবির জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর মাষ্টার, কৃষকনেতা জাহাঙ্গীর মন্ডল প্রমুখ।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার নির্ধারিত ১০৪০ টাকা রেটে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ধান ক্রয়ের দাবি জানান। তারা বলেন, সরকারের নির্ধারিত রেটে ধান বিক্রি করতে না পারলে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় উঠবে না। ফলে করোনার এই দুঃসময়ে কৃষকরা জীবন বাজি রেখে ধানের যে উৎপাদন করলো তার সুফল থেকে আবারও তারা বঞ্চিত হবেন। বক্তারা বলেন, সরকার আগামি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনজিও ঋণের উপর কিস্তি আদায় বন্ধের সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। কিন্ত প্রজ্ঞাপন উপেক্ষা করে অনেক এনজিও ঋনের কিস্তি আদায় অব্যাহত রেখে চাপ প্রয়োগ করে চলেছে। এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছেন। বক্তারা করোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এনজিও কিস্তি আদায়ের মেয়াদ বাড়ানোসহ সকল প্রকার কৃষিঋনের সুদ মওকুপের দাবি জানান। বক্তারা আরও বলেন, অস্থায়ী ওএমএস কার্ড বাতিল করে স্থায়ী রেশন কার্ডে রুপান্তর করে কৃষকসহ নিম্ম আয়ের সকল মানুষের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্বব্যাপী এই সমস্যা সমাধানে রাজনীতি না করে চিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারসহ সকল পেশাজীবি সংগঠন, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক দলের সমন্বতি উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরী।
বক্তারা দীর্ঘ মেয়াদী এই করোনা রোধে জেলায় জেলায় করোনা টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করে পর্যাপ্ত টেস্টের ব্যবস্থাকরণ, করোনা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার, নার্স, আয়া, পরিচ্ছন্নকর্মী, সেনাবাহিনী, পুলিশ গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ঠ সকলকে পর্যাপ্ত পিপিইসহ সব ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।