খোঁজ খবর রিপোর্টঃ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে সোনার বাংলা পরিবহন নামে ৪টি বাস জোর পূর্বক চলাচল করায় বাস টার্মিনালে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গাইবান্ধা জেলা মটর মালিক সমিতি ও জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন, জেলা বাস-মিনিবাস কোচ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক লিখিত অভিযোগে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক ও আরটিসি চেয়ারম্যান গাইবান্ধা বরাবরে দাখিলকৃত এ অভিযোগে উলেখ করা হয়, গাইবান্ধা জেলা মটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নভূক্ত সুন্দরগঞ্জ উপজেলা থেকে ৩০টি বাস অনেক আগে থেকেই ঢাকা-সায়দাবাদ, নারায়নগঞ্জ ও চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করে আসছে। এছাড়া আরও ২৫টি বাস সুন্দরগঞ্জ থেকে চালানোর জন্য আগেই সিরিয়ালের অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু সোনার বাংলা পরিবহন গাইবান্ধা জেলা মটর মালিক সমিতির সদস্য বা অন্তর্ভূক্ত না হয়েও গত ১০ জুন বুধবার থেকে সোনার বাংলা ব্যানারে প্রথমে দুটি বাস গাইবান্ধা টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে চলাচল করে আসছিল। কিন্তু সোনার বাংলা পরিবহনের মালিক হঠাৎ করে আরও দুটি বাস সুন্দরগঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে জোর পূর্বক চালিয়ে আসছে। ফলে জেলা মটর মালিক সমিতি ও জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নকে পাশ কাটিয়ে সোনার বাংলা পরিবহন এ রকম একক সিদ্ধান্তে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা থেকে বাসগুলো জোর পূর্বক চলাচলের কারণে টার্মিনালে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং এজন্য যে কোন মুহুর্তে এই জেলায় বাস চলাচলে চরম বিশৃংখলা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
উলেখ্য, করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধকল্পে সরকারের নির্দেশনায় গণ পরিবহন গত ২৬ মার্চ থেকে ৩১মে পর্যন্ত বাংলাদেশের সব জায়গায় বন্ধছিল। তাতে গণ পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে দীর্ঘ ৬৭ দিন গণ পরিবহন বন্ধ থাকার পর সীমিত আকারে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক গত ১ জুন গাইবান্ধা থেকে গণ পরিবহন সীমিত ও পর্যায়ক্রমে সিরিয়াল মোতাবেক সারাদেশের ন্যায় চালু করা হয়।