বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিলিতে লকডাউন এখন শুধুই কাগজে-কলমে

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:১১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মে ২০২০
  • ১৭৪ Time View

হিলি প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা লকডাউনের আওতায় থাকলেও তা রয়েছে কাগজে-কলমে। সামাজিক দূরত্ব বজায়ের নির্দেশ অমান্য করে উপজেলার সর্বত্র লোকজনের অবাধ বিচরণ এবং রিক্সা, ভ্যান, আটোচার্জার চলাচল বেড়েই চলেছে। লকডাউন কার্যকরে উপজেলা প্রশাসনেরও তেমন নেই কোন তৎপরতা। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের দাবি তারা সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করছে।

গত ১৪ই এপ্রিল দিনাজপুর জেলায় একদিনে ৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলে পরদিন ১৫ই এপ্রিল জেলা প্রশাসন হাকিমপুরসহ (হিলি) দিনাজপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে হাকিমপুর (হিলি) উপজেলায় দুই জন নারায়াণগঞ্জ ফেরৎ করোনা শনাক্ত হয়েছে। লকাডাউন বলবৎ থাকলেও প্রশাসনের তৎপরতা নেই বললেই চলে। আর এই সুযোগ নিয়ে লোকজনের সামাজিক দূরত্ব বজায় আইন অমান্যের প্রবণতাও বেড়েই চলেছে।

রমজান মাস শুরুর পর অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সর্বত্র লোকজনের বিচরণ এবং রিক্সা, অটোচার্জারের অবাধ চলাচল দেখে মনেই হবে না এখানে লকডাউন চলছে। প্রায় সব ধরনের দোকানপাটই আংশিক খোলা রেখে বেচাকেনা চলছে।

এদিকে হিলির দোকান গুলোতে ভোর থেকেই উপচেপড়া ভীড় জমাচ্ছে ক্রেতারা। এমনকি টিসিবির পন্য কিনতে সকাল থেকে ভির করছে সাধারন মানুষ। মানা হচ্ছেনা সামাজিক দূরত্ব। এতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বাড়ার আশংকা করছে সচেতন মহল।

অপরদিকে মাঝে মাধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে জরিমানা করলেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি নেই। উপরোন্ত পরিস্থিতির অবনতিই ঘটছে। তবে ব্যতিক্রম হিলি বাজারের এবং সড়কের পাশে থাকা চায়ের স্টলগুলো। প্রথম থেকেই লকডাউনের পুরো শিকার তারাই।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম জানান, আমরা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করছি। আমরা যখন বাজার মনিটরিং এর জন্য যাচ্ছি তখন অনেকেই বাজারের দোকান বন্ধ রাখছে এবং সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মানছেন।

তিনি আরও জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হিলির একটি বে-সরকারী সংগঠনের (তারণ্য শক্তি) মাধ্যমে সবার বাড়িতে খাবার পৌছিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। নির্দিষ্ঠ সময়ের মধ্যে যদি তাদেরকে ফোন করলেই অর্ডার করা বাড়িতে খাবারসহ ঔষুধ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই জন্য অযথা বাহিরে ঘোড়াফেরা করা কোন প্রয়োজন নেই।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে সাধারন মানুষ যদি সচেতন না হয় তবে এই মহামারি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পরবে। এই জন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

হিলিতে লকডাউন এখন শুধুই কাগজে-কলমে

Update Time : ১০:১১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মে ২০২০

হিলি প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা লকডাউনের আওতায় থাকলেও তা রয়েছে কাগজে-কলমে। সামাজিক দূরত্ব বজায়ের নির্দেশ অমান্য করে উপজেলার সর্বত্র লোকজনের অবাধ বিচরণ এবং রিক্সা, ভ্যান, আটোচার্জার চলাচল বেড়েই চলেছে। লকডাউন কার্যকরে উপজেলা প্রশাসনেরও তেমন নেই কোন তৎপরতা। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের দাবি তারা সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করছে।

গত ১৪ই এপ্রিল দিনাজপুর জেলায় একদিনে ৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলে পরদিন ১৫ই এপ্রিল জেলা প্রশাসন হাকিমপুরসহ (হিলি) দিনাজপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে হাকিমপুর (হিলি) উপজেলায় দুই জন নারায়াণগঞ্জ ফেরৎ করোনা শনাক্ত হয়েছে। লকাডাউন বলবৎ থাকলেও প্রশাসনের তৎপরতা নেই বললেই চলে। আর এই সুযোগ নিয়ে লোকজনের সামাজিক দূরত্ব বজায় আইন অমান্যের প্রবণতাও বেড়েই চলেছে।

রমজান মাস শুরুর পর অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সর্বত্র লোকজনের বিচরণ এবং রিক্সা, অটোচার্জারের অবাধ চলাচল দেখে মনেই হবে না এখানে লকডাউন চলছে। প্রায় সব ধরনের দোকানপাটই আংশিক খোলা রেখে বেচাকেনা চলছে।

এদিকে হিলির দোকান গুলোতে ভোর থেকেই উপচেপড়া ভীড় জমাচ্ছে ক্রেতারা। এমনকি টিসিবির পন্য কিনতে সকাল থেকে ভির করছে সাধারন মানুষ। মানা হচ্ছেনা সামাজিক দূরত্ব। এতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বাড়ার আশংকা করছে সচেতন মহল।

অপরদিকে মাঝে মাধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে জরিমানা করলেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি নেই। উপরোন্ত পরিস্থিতির অবনতিই ঘটছে। তবে ব্যতিক্রম হিলি বাজারের এবং সড়কের পাশে থাকা চায়ের স্টলগুলো। প্রথম থেকেই লকডাউনের পুরো শিকার তারাই।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম জানান, আমরা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করছি। আমরা যখন বাজার মনিটরিং এর জন্য যাচ্ছি তখন অনেকেই বাজারের দোকান বন্ধ রাখছে এবং সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মানছেন।

তিনি আরও জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হিলির একটি বে-সরকারী সংগঠনের (তারণ্য শক্তি) মাধ্যমে সবার বাড়িতে খাবার পৌছিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। নির্দিষ্ঠ সময়ের মধ্যে যদি তাদেরকে ফোন করলেই অর্ডার করা বাড়িতে খাবারসহ ঔষুধ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই জন্য অযথা বাহিরে ঘোড়াফেরা করা কোন প্রয়োজন নেই।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে সাধারন মানুষ যদি সচেতন না হয় তবে এই মহামারি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পরবে। এই জন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।