বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লকডাউন ২০০ শয্যাবিশিষ্ট গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগ ব্লক ও প্যাথলজি বিভাগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মে ২০২০
  • ১৬২ Time View

খোঁজ খবর রিপোর্টঃ  ২০০ শয্যাবিশিষ্ট গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্টের এর করোনা শনাক্ত হওয়ায় হাসপাতালের বহির্বিভাগ ব্লক ও প্যাথলজি বিভাগ  লকডাউন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে প্যাথলজি বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) তিনজন, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট একজন ও এমএলএসএস একজন। করোনায় শনাক্ত হওয়া মেডিকেল টেকনোলজিস্ট(ল্যাব) এর বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের বরকতপুর গ্রামে।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে যারা করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে যেতেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল প্যাথলজি বিভাগে। পরে এসব নমুনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে পাঠানো হতো রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) করোনা শনাক্তের পিসিআর ল্যাবে। জেলায় গতকাল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ জন। তার মধ্যে মারা যায় একজন। আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৪ জন। ছাড়পত্র দেওয়া হয় ১৬০ জনকে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯৫৭ জন।


সম্প্রতি এক মেডিকেল টেকনোলজিস্টের (ল্যাব) করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ২২ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে রমেকে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। গত বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহির্বিবাগ ব্লক ও প্যাথলজি বিভাগ লকডাউন ঘোষণা করে তালাবব্ধ করে দেয়।

জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মাহফুজার রহমান বলেন, প্যাথলজি বিভাগের একজনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় তার চার সহকর্মীকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। চারজনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে নেগেটিভ হলে তখন বহিবিভাগ ব্লক ও প্যাথলজি বিভাগের সেবা চালু করা হবে। যদি তারা করোনায় পজিটিভ হন তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বহিবিভাগ ব্লক ও প্যাথলজি বিভাগ।

জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল মতিন জানান, করোনার কারণে জেলার সাত উপজেলা ও চারটি পৌরসভায় কর্মহীন মানুষের জন্য সরকারি খাদ্য সহায়তা হিসেবে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩০০ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৮৩ মেট্রিকটন চাল ও ১ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ পরিবারের মধ্যে ৭০ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

গাইবান্ধায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য খুন

লকডাউন ২০০ শয্যাবিশিষ্ট গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগ ব্লক ও প্যাথলজি বিভাগ

Update Time : ০৯:০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মে ২০২০

খোঁজ খবর রিপোর্টঃ  ২০০ শয্যাবিশিষ্ট গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্টের এর করোনা শনাক্ত হওয়ায় হাসপাতালের বহির্বিভাগ ব্লক ও প্যাথলজি বিভাগ  লকডাউন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে প্যাথলজি বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) তিনজন, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট একজন ও এমএলএসএস একজন। করোনায় শনাক্ত হওয়া মেডিকেল টেকনোলজিস্ট(ল্যাব) এর বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের বরকতপুর গ্রামে।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে যারা করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে যেতেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল প্যাথলজি বিভাগে। পরে এসব নমুনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে পাঠানো হতো রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) করোনা শনাক্তের পিসিআর ল্যাবে। জেলায় গতকাল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ জন। তার মধ্যে মারা যায় একজন। আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৪ জন। ছাড়পত্র দেওয়া হয় ১৬০ জনকে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯৫৭ জন।


সম্প্রতি এক মেডিকেল টেকনোলজিস্টের (ল্যাব) করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ২২ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে রমেকে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। গত বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহির্বিবাগ ব্লক ও প্যাথলজি বিভাগ লকডাউন ঘোষণা করে তালাবব্ধ করে দেয়।

জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মাহফুজার রহমান বলেন, প্যাথলজি বিভাগের একজনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় তার চার সহকর্মীকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। চারজনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে নেগেটিভ হলে তখন বহিবিভাগ ব্লক ও প্যাথলজি বিভাগের সেবা চালু করা হবে। যদি তারা করোনায় পজিটিভ হন তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বহিবিভাগ ব্লক ও প্যাথলজি বিভাগ।

জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল মতিন জানান, করোনার কারণে জেলার সাত উপজেলা ও চারটি পৌরসভায় কর্মহীন মানুষের জন্য সরকারি খাদ্য সহায়তা হিসেবে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩০০ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৮৩ মেট্রিকটন চাল ও ১ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ পরিবারের মধ্যে ৭০ লাখ ২৫ হাজার টাকা।