শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে সাবেক আরডিসি নাজিম উদ্দিনের আরেক লোমহর্ষক কাহিনী(!) ফাঁস

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ মার্চ ২০২০
  • ২৯৬ Time View

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে পিটিয়ে মোবাইল কোর্টে সাজা দেয়া নিয়ে দেশব্যাপী বিতর্কের ঝড় তোলা আরডিসি নাজিম উদ্দিনের আরেক লোমহর্ষক কাহিনী(!) ফাঁস হয়েছে। ২১ দিন আগে বিশ্বনাথ নামে এক মৎসজীবীকে একই কায়দায় রাতের আঁধারে মোবাইল কোর্টে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে দুইটি ধারায় ২৬ মাস কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তবে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বেরিয়ে আসেন বিশ্বনাথ। পরে ভর্তি হন হাসপাতালে। হাসপাতালে শুয়েই আরডিসি নাজিমউদ্দিনের নির্মম নির্যাতনের ঘটনা ফাঁস করেন বিশ্বনাথ। গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন মোবাইল কোর্টের নামে রাতের আঁধারে তার ওপর চালানো নির্যাতনের ভয়াবহতা। সরকারি কর্মকর্তার এমন পৈশাচিক আচরণে গোটা কুড়িগ্রামবাসী স্তম্ভিত, হতবাক।

স্থানীয় সাংবাদিকরা বিশ্বনাথের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গেলে বের হয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সকালে জেলা থেকে বেরুনোর পরই মৎসজীবী বিশ্বনাথকে পাকড়াও করেছিলেন আরডিসি নাজিমউদ্দিন। তাকে তার গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়ে নানাভাবে হুমকি ও প্রলোভন দেখিয়েছেন। যেন মোবাইল কোর্টের নামে তার ওপর নির্মম নির্যাতনের ঘটনা কোনোভাবেই সাংবাদিকরা জানতে না পারে। দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার পরে বিশ্বনাথকে রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে আসেন আরডিসি নাজিম। ছাড়া পেয়ে বিশ্বনাথ সোজাসুজি এসে হাসপাতালে ভর্তি হন।

সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে বিশ্বনাথ বলেন, আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আরডিসি নাজিমউদ্দিন আমাকে জেল থেকে বের করে উনার গেস্ট হাউসের দোতালার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে বসিয়ে রেখে বলেন, তোমার তো ক্রসফায়ারের অর্ডার হয়ে গেছে। তুমি তো এখন ক্রসফায়ারে যাবে, র‌্যাব তোমাকে খুঁজছে। তবে তোমার বাঁচার একটা পথ আছে। আমি যখন রেকর্ড চালু করবো, তখন আমি যেভাবে বলবো ঠিক সেভাবেই তুমি বলবে।

আরডিসির এমন কথায় ভয় পেয়ে যান বলে জানান বিশ্বনাথ। তিনি বলেন, তার কথায় আমি ভয় পেয়ে গেলাম। তিনি শিখিয়ে দিলেন যে, তুমি এই জেল থেকে বের হওয়ার পর কেউ যদি জানতে চায় তাহলে বলবে, নাজিম উদ্দিন স্যার আমাকে মারেনি। এরপর তিনি বলেন, এখন থেকে বের হয়ে তুমি রংপুর চলে যাবে। মোবাইল বন্ধ করে তুমি ছয়মাস সেখানে থাকবে। বাড়িতে কাউকে ফোন দিবে না। তোমার কিছু প্রয়োজন হলে আমার নাম্বারে ফোন দিবে। আমি তোমার চলার ব্যবস্থা করে দিবো। এভাবে নির্দেশ দিয়ে তিনি আমাকে খলিলগঞ্জের দিকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যান।

তবে কী কারণে তাকে মোবাইল কোর্টে নির্যাতন করা হয়েছে জানতে চাইলে বিশ্বনাথ বলেন, আমরা মৎস্যজীবী হিসেবে নাগেশ্বরী উপজেলার দেবীকুড়া বিলটি সমিতির নামে লিজ নিয়ে মাস চাষ করে আসছিলাম। পরে আমার সমিতি পাস করার পরে লিজের সময় ছয় মাস বাকি থাকতেই উন্নয়ন প্রকল্পে ছয় বছরের লিজের জন্য আদালতে আবেদন করি। তখন বিলটিতে আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল। তবে ওই অবস্থায় অন্যায়ভাবে বিলটি লিজের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। এ ব্যাপারে সাহায্য পাওয়ার জন্য প্রতিদিনই আমরা নাজিমউদ্দিন স্যারের কাছে যেতাম। তবে নাজিমউদ্দিন স্যার একথা সে কথা বলে আমাদের বিদায় করতো। কোনোভাবেই আমাদের সমস্যা সমধানে রাজি হয়নি।

এ পর্যায়ে বিশ্বনাথ আবেগ জড়িত কণ্ঠে বলেন, সর্বশেষ স্যারের সঙ্গে দেখা কের যাওয়ার দুদিন পর রাত দুটার দিকে ঘটলো সেই ঘটনা। নাজিমউদ্দিন স্যার ওই রাতে আমার বাসায় গিয়ে বিছানা থেকে আমাকে তুলে বাইরে নিয়া আসেন। এরপর আমাকে ইচ্ছামতো পেটাতে থাকেন। পরে আমাকে কুড়িগ্রামে উনার চেম্বারে নিয়ে আসার পর হাতপা বেঁধে ফেলেন। আমার মাথায় আঘাত করেন আর বলেন, তুমি মামলা তুলে নাও না কেন?

এরপর আরো ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, তোর কোন বাপ আছে যে তোকে বাঁচাবে। পাঁচদিন পর আমি তোকে রিমান্ডে নিব। আমি তোমাকে মারতে আসবো। তোমাকে মারবো আর সবাই হাসবে। এভাবে মারতে মারতে এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলাম। এরপর কী হয়েছে তা আর বলতে পারি না।

আরডিসির হাতে নির্যাতনের শিকার বিশ্বনাথের ভাই স্বপন চন্দ্র দাস বলেন, সোমবার (১৬ মার্চ) রাতে আমরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছে আমার ভাইয়ের জামিনের আবেদন করেছিলাম। তিনি মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) দুপুরের দিকে এসে বিশ্বনাথকে নিয়ে যেতে বলেছিলেন। তবে সকালে গিয়েই জানতে পারি তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সে অসুস্থ বলে তাকে নাকি হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়েছে।

জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের কারারক্ষী খালিদ হাসান জানান, বিশ্বনাথকে মামলার দুটি ধারার মধ্যে একটিতে একমাস আর অন্যটিতে ২৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তার জামিনের কাগজপত্র আসায় তাকে আমরা মুক্তি দেই। কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুজাউদ্দৌলা তার জামিন মঞ্জুর করান। তবে বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুজাউদ্দৌলা ও প্রত্যাহার হওয়া আরডিসি নাজিম উদ্দিনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রমতে, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের আরডিসি নাজিমউদ্দিনের নির্যাতনের শিকার বিশ্বনাথের বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের পরম আলী গ্রামের কলেজ মোড় এলাকায়। ভিতরবন্দের একটি জলাশয়ে মৎস্যজীবী হিসেবে সমিতির নামে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন তিনি। লিজের ছয় মাস সময় থাকার পরও চাষ করা মাছসহ বিলটিকে অবৈধভাবে উন্মুক্ত ঘোষণা করেন আরডিসি নাজিম উদ্দিন। পরে বিশ্বনাথরা বিলটি পেতে আদালতের আশ্রয় নিলে নাজিম উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে একটি মামলার দুটি ধারায় দুই বছরের জেল দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

তেঁতুলিয়ায় ক্ল ুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন, বীরগঞ্জ থেকে আসামি আটক

কুড়িগ্রামে সাবেক আরডিসি নাজিম উদ্দিনের আরেক লোমহর্ষক কাহিনী(!) ফাঁস

Update Time : ০৭:৫৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ মার্চ ২০২০

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে পিটিয়ে মোবাইল কোর্টে সাজা দেয়া নিয়ে দেশব্যাপী বিতর্কের ঝড় তোলা আরডিসি নাজিম উদ্দিনের আরেক লোমহর্ষক কাহিনী(!) ফাঁস হয়েছে। ২১ দিন আগে বিশ্বনাথ নামে এক মৎসজীবীকে একই কায়দায় রাতের আঁধারে মোবাইল কোর্টে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে দুইটি ধারায় ২৬ মাস কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তবে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বেরিয়ে আসেন বিশ্বনাথ। পরে ভর্তি হন হাসপাতালে। হাসপাতালে শুয়েই আরডিসি নাজিমউদ্দিনের নির্মম নির্যাতনের ঘটনা ফাঁস করেন বিশ্বনাথ। গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন মোবাইল কোর্টের নামে রাতের আঁধারে তার ওপর চালানো নির্যাতনের ভয়াবহতা। সরকারি কর্মকর্তার এমন পৈশাচিক আচরণে গোটা কুড়িগ্রামবাসী স্তম্ভিত, হতবাক।

স্থানীয় সাংবাদিকরা বিশ্বনাথের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গেলে বের হয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সকালে জেলা থেকে বেরুনোর পরই মৎসজীবী বিশ্বনাথকে পাকড়াও করেছিলেন আরডিসি নাজিমউদ্দিন। তাকে তার গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়ে নানাভাবে হুমকি ও প্রলোভন দেখিয়েছেন। যেন মোবাইল কোর্টের নামে তার ওপর নির্মম নির্যাতনের ঘটনা কোনোভাবেই সাংবাদিকরা জানতে না পারে। দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার পরে বিশ্বনাথকে রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে আসেন আরডিসি নাজিম। ছাড়া পেয়ে বিশ্বনাথ সোজাসুজি এসে হাসপাতালে ভর্তি হন।

সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে বিশ্বনাথ বলেন, আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আরডিসি নাজিমউদ্দিন আমাকে জেল থেকে বের করে উনার গেস্ট হাউসের দোতালার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে বসিয়ে রেখে বলেন, তোমার তো ক্রসফায়ারের অর্ডার হয়ে গেছে। তুমি তো এখন ক্রসফায়ারে যাবে, র‌্যাব তোমাকে খুঁজছে। তবে তোমার বাঁচার একটা পথ আছে। আমি যখন রেকর্ড চালু করবো, তখন আমি যেভাবে বলবো ঠিক সেভাবেই তুমি বলবে।

আরডিসির এমন কথায় ভয় পেয়ে যান বলে জানান বিশ্বনাথ। তিনি বলেন, তার কথায় আমি ভয় পেয়ে গেলাম। তিনি শিখিয়ে দিলেন যে, তুমি এই জেল থেকে বের হওয়ার পর কেউ যদি জানতে চায় তাহলে বলবে, নাজিম উদ্দিন স্যার আমাকে মারেনি। এরপর তিনি বলেন, এখন থেকে বের হয়ে তুমি রংপুর চলে যাবে। মোবাইল বন্ধ করে তুমি ছয়মাস সেখানে থাকবে। বাড়িতে কাউকে ফোন দিবে না। তোমার কিছু প্রয়োজন হলে আমার নাম্বারে ফোন দিবে। আমি তোমার চলার ব্যবস্থা করে দিবো। এভাবে নির্দেশ দিয়ে তিনি আমাকে খলিলগঞ্জের দিকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যান।

তবে কী কারণে তাকে মোবাইল কোর্টে নির্যাতন করা হয়েছে জানতে চাইলে বিশ্বনাথ বলেন, আমরা মৎস্যজীবী হিসেবে নাগেশ্বরী উপজেলার দেবীকুড়া বিলটি সমিতির নামে লিজ নিয়ে মাস চাষ করে আসছিলাম। পরে আমার সমিতি পাস করার পরে লিজের সময় ছয় মাস বাকি থাকতেই উন্নয়ন প্রকল্পে ছয় বছরের লিজের জন্য আদালতে আবেদন করি। তখন বিলটিতে আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল। তবে ওই অবস্থায় অন্যায়ভাবে বিলটি লিজের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। এ ব্যাপারে সাহায্য পাওয়ার জন্য প্রতিদিনই আমরা নাজিমউদ্দিন স্যারের কাছে যেতাম। তবে নাজিমউদ্দিন স্যার একথা সে কথা বলে আমাদের বিদায় করতো। কোনোভাবেই আমাদের সমস্যা সমধানে রাজি হয়নি।

এ পর্যায়ে বিশ্বনাথ আবেগ জড়িত কণ্ঠে বলেন, সর্বশেষ স্যারের সঙ্গে দেখা কের যাওয়ার দুদিন পর রাত দুটার দিকে ঘটলো সেই ঘটনা। নাজিমউদ্দিন স্যার ওই রাতে আমার বাসায় গিয়ে বিছানা থেকে আমাকে তুলে বাইরে নিয়া আসেন। এরপর আমাকে ইচ্ছামতো পেটাতে থাকেন। পরে আমাকে কুড়িগ্রামে উনার চেম্বারে নিয়ে আসার পর হাতপা বেঁধে ফেলেন। আমার মাথায় আঘাত করেন আর বলেন, তুমি মামলা তুলে নাও না কেন?

এরপর আরো ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, তোর কোন বাপ আছে যে তোকে বাঁচাবে। পাঁচদিন পর আমি তোকে রিমান্ডে নিব। আমি তোমাকে মারতে আসবো। তোমাকে মারবো আর সবাই হাসবে। এভাবে মারতে মারতে এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলাম। এরপর কী হয়েছে তা আর বলতে পারি না।

আরডিসির হাতে নির্যাতনের শিকার বিশ্বনাথের ভাই স্বপন চন্দ্র দাস বলেন, সোমবার (১৬ মার্চ) রাতে আমরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছে আমার ভাইয়ের জামিনের আবেদন করেছিলাম। তিনি মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) দুপুরের দিকে এসে বিশ্বনাথকে নিয়ে যেতে বলেছিলেন। তবে সকালে গিয়েই জানতে পারি তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সে অসুস্থ বলে তাকে নাকি হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়েছে।

জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের কারারক্ষী খালিদ হাসান জানান, বিশ্বনাথকে মামলার দুটি ধারার মধ্যে একটিতে একমাস আর অন্যটিতে ২৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তার জামিনের কাগজপত্র আসায় তাকে আমরা মুক্তি দেই। কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুজাউদ্দৌলা তার জামিন মঞ্জুর করান। তবে বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুজাউদ্দৌলা ও প্রত্যাহার হওয়া আরডিসি নাজিম উদ্দিনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রমতে, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের আরডিসি নাজিমউদ্দিনের নির্যাতনের শিকার বিশ্বনাথের বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের পরম আলী গ্রামের কলেজ মোড় এলাকায়। ভিতরবন্দের একটি জলাশয়ে মৎস্যজীবী হিসেবে সমিতির নামে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন তিনি। লিজের ছয় মাস সময় থাকার পরও চাষ করা মাছসহ বিলটিকে অবৈধভাবে উন্মুক্ত ঘোষণা করেন আরডিসি নাজিম উদ্দিন। পরে বিশ্বনাথরা বিলটি পেতে আদালতের আশ্রয় নিলে নাজিম উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে একটি মামলার দুটি ধারায় দুই বছরের জেল দেন।