বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উলিপুরে এস আই আশরাফের তান্ডব, গ্রামে আতংক !

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:১৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ১৪৪ Time View

উলিপুর(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ নিয়মিত মামলা ছাড়াই পরকীয়ার অভিযোগে এক গৃহবধুকে উদ্ধার করতে গিয়ে এসআই আশরাফ আলী নিরীহ পরিবারে তান্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) রাত ৯ টার দিকে উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেনী ইউনিয়নের কাশিয়াগাড়ী গ্রামে। পুলিশের এমন আচরণে ওই গ্রামের মানুষজন স্থম্ভিত হয়ে পড়েছেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের গৃহকর্তা হত দরিদ্র তৈয়ব আলী ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকতার্র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধামশ্রেণী ইউনিয়নের কাশিয়াগাড়ী গ্রামের দিনমজুর তৈয়ব আলীর ছেলে শহিদুর রহমান ও একই ইউনিয়নের কুড়ার পাড় গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে ফরিদা আক্তারের দীর্ঘদিনের পরকীয়ার সম্পর্ক চলে আসছিল। এক পর্যায়ে দু’জন দুজনকে ভালবেসে বিয়ে করার সিধান্ত নেয়। তাদের সিধান্ত অনুযায়ী পালিয়ে গিয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী প্রথমে কুড়িগ্রাম নোটারী পাবলিকে এভিডেভিট ও পরে মুসলিম শরা অনুয়ায়ী বিয়ে করে ফরিদাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন শহিদুর রহমান। এদিকে, ফরিদার বাবা মেয়েকে উদ্ধারের জন্য উলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে উলিপুর থানার এস আই আশরাফ আলী কয়েকজন পুলিশসহ মেয়েকে উদ্ধার করার জন্য ছেলের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় বাড়ীতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকলেও এস আই আশরাফ, পুলিশ ও অভিযোগ কারীদের পক্ষের লোকজনকে সাথে নিয়ে জোরপূর্বক গৃহকর্তা তৈয়ব আলীর ঘরের দরজা-জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে মেয়েদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে আলমারিসহ আসবাবপত্রে ব্যাপক ভাংচুর চালায় বলে তৈয়ব আলী অভিযোগ করেন। অভিয়োগ রয়েছে, মহিলা পুলিশ না থাকলেও ওই বাড়ির শহিদুরের মা ছপিয়া বেগম ও আছমা বেগমকে চড়থাপ্পর মেরে ঘরে থেকে বের করে দেন। এরপর ফরিদা আক্তারকে উদ্ধার করে তার বাবার হাতে তুলে দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে পুলিশী আতংক বিরাজ করছে।
এসআই আশরাফের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভাংচুরের কথা অস্বীকার করে বলেন, গরীব মানুষের উপকার করতে গিয়েছিলাম। এমন একটু তো হতেই পারে। সে পরকীয়া করল এটা কোন অপরাধ নয়?
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি মেয়ে উদ্ধারের কথা স্বীকার বলেন সেখানে যে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে সেটা আপনার কাছেই প্রথম জানলাম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

তেঁতুলিয়ায় ক্ল ুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন, বীরগঞ্জ থেকে আসামি আটক

উলিপুরে এস আই আশরাফের তান্ডব, গ্রামে আতংক !

Update Time : ১১:১৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০

উলিপুর(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ নিয়মিত মামলা ছাড়াই পরকীয়ার অভিযোগে এক গৃহবধুকে উদ্ধার করতে গিয়ে এসআই আশরাফ আলী নিরীহ পরিবারে তান্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) রাত ৯ টার দিকে উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেনী ইউনিয়নের কাশিয়াগাড়ী গ্রামে। পুলিশের এমন আচরণে ওই গ্রামের মানুষজন স্থম্ভিত হয়ে পড়েছেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের গৃহকর্তা হত দরিদ্র তৈয়ব আলী ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকতার্র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধামশ্রেণী ইউনিয়নের কাশিয়াগাড়ী গ্রামের দিনমজুর তৈয়ব আলীর ছেলে শহিদুর রহমান ও একই ইউনিয়নের কুড়ার পাড় গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে ফরিদা আক্তারের দীর্ঘদিনের পরকীয়ার সম্পর্ক চলে আসছিল। এক পর্যায়ে দু’জন দুজনকে ভালবেসে বিয়ে করার সিধান্ত নেয়। তাদের সিধান্ত অনুযায়ী পালিয়ে গিয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী প্রথমে কুড়িগ্রাম নোটারী পাবলিকে এভিডেভিট ও পরে মুসলিম শরা অনুয়ায়ী বিয়ে করে ফরিদাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন শহিদুর রহমান। এদিকে, ফরিদার বাবা মেয়েকে উদ্ধারের জন্য উলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে উলিপুর থানার এস আই আশরাফ আলী কয়েকজন পুলিশসহ মেয়েকে উদ্ধার করার জন্য ছেলের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় বাড়ীতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকলেও এস আই আশরাফ, পুলিশ ও অভিযোগ কারীদের পক্ষের লোকজনকে সাথে নিয়ে জোরপূর্বক গৃহকর্তা তৈয়ব আলীর ঘরের দরজা-জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে মেয়েদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে আলমারিসহ আসবাবপত্রে ব্যাপক ভাংচুর চালায় বলে তৈয়ব আলী অভিযোগ করেন। অভিয়োগ রয়েছে, মহিলা পুলিশ না থাকলেও ওই বাড়ির শহিদুরের মা ছপিয়া বেগম ও আছমা বেগমকে চড়থাপ্পর মেরে ঘরে থেকে বের করে দেন। এরপর ফরিদা আক্তারকে উদ্ধার করে তার বাবার হাতে তুলে দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে পুলিশী আতংক বিরাজ করছে।
এসআই আশরাফের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভাংচুরের কথা অস্বীকার করে বলেন, গরীব মানুষের উপকার করতে গিয়েছিলাম। এমন একটু তো হতেই পারে। সে পরকীয়া করল এটা কোন অপরাধ নয়?
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি মেয়ে উদ্ধারের কথা স্বীকার বলেন সেখানে যে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে সেটা আপনার কাছেই প্রথম জানলাম।