শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখলেন ডানহাতি অফস্পিনার নাঈম হাসান।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৩৯:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২২৮ Time View

খোঁজ খবর ডেস্কঃ  মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্ট ম্যাচের শেষ হলো প্রথম দিন। দিন শেষে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ দল। শেষ বিকালে জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক আরভিনকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখলেন ডানহাতি অফস্পিনার নাঈম হাসান।

দিনের খেলা মাত্র ১০ বল বাকি থাকতেই নাঈম হাসানের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন আরভিন। ২২৭ বল মোকাবেলা করে তিনি সংগ্রহ করেন ১০৭ রান। বাউন্ডারির মার ছিল ১৩টি। প্রথম দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ালো ৯০ ওভারে ৬ উইকেচ হারিয়ে ২২৮ রান। রান তোলার গড় ছিল ২.৫৩ করে। একেবারে খাঁটি টেস্ট ইনিংস মনে হবে যেন এটাকে। ৯ রান নিয়ে উইকেটে রয়েছেন রেগিস চাকাভা এবং কোনো রান না নিয়ে ডোনাল্ড তিরিপানো।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অতি-সতর্কতার সঙ্গে শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের দুই পেসার আবু জায়েদ রাহী আর এবাদত হোসেন প্রথম ৪ ওভারই নেন মেডেন। পঞ্চম ওভারে ১ রান আসলেও সেটি ছিল ওয়াইড থেকে। ৫ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ছিল বিনা উইকেটে মাত্র ১। জিম্বাবুয়ের সেই ধৈর্যের বাঁধ শেষ পর্যন্ত ভাঙেন আবু জায়েদ রাহী। ইনিংসের অষ্টম ওভারে এসে আঘাত হানেন ডানহাতি এই পেসার। ২ রান করে গালিতে নাইম হাসানের ক্যাচ হন জিম্বাবুইয়ান ওপেনার কেভিন কাসুজা।

তবে ৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারালেও পরে সেই ধাক্কা দারুণভাবে কাটিয়ে ওঠে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন আর প্রিন্স মাসভরে ১১১ রানের জুটিতে দলকে ভালো অবস্থানে পৌঁছে দেন। তারপরই জোড়া আঘাত নাইমের। বাংলাদেশি বোলারদের রীতিমত ঘাম ঝরিয়ে ছাড়ছিলেন ক্রেইগ আরভিন আর প্রিন্স মাসভরে। শুরুর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ১১১ রানের বড় জুটি গড়ে ফেলেন তারা। কোনোকিছুতেই কিছু হচ্ছিল না, রান বাড়িয়েই যাচ্ছিলেন এই যুগল।

শেষতক চোখ রাঙানো এই শতরানের জুটিটি ভাঙেন নাইম হাসান। ইনিংসের ৪৯তম ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে হাফসেঞ্চুরিয়ান মাসভরেকে (৬৪) ফিরতি ক্যাচ বানান এই অফস্পিনার। পরের ওভারে এসে আবারও আঘাত। এবার নাইমকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ধরা ব্রেন্ডন টেলর। কপালটা খারাপই বলতে হবে এই ব্যাটসম্যানের। বল ব্যাটে লেগে দুই তিন ড্রপে স্ট্যাম্পে গিয়ে আঘাত হানে। ১০ রান করেন টেলর।

এরপর ২০ ওভারের আরও একটি জুটি ক্রেইগ আরভিন আর সিকান্দার রাজার। তারা মাত্র ২ গড়ে তুলেন ৪০ রান। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটিও ভাঙেন নাইম, রাজাকে (১৮) উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান তিনি। তারপরও ‘ধীরে চলো নীতি’ থেকে সরে আসেনি জিম্বাবুয়ে। পঞ্চম উইকেটে তিমিসেন মারুমাকে নিয়ে প্রায় ১০ ওভারের মতো কাটিয়ে দেন আরভিন। নতুন বল হাতে নেয়ার ঠিক আগের ওভারে মারুমাকে (৭) এলবিডব্লিউ করেন আবু জায়েদ রাহী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE
Popular Post

তেঁতুলিয়ায় ক্ল ুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন, বীরগঞ্জ থেকে আসামি আটক

বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখলেন ডানহাতি অফস্পিনার নাঈম হাসান।

Update Time : ১১:৩৯:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০

খোঁজ খবর ডেস্কঃ  মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্ট ম্যাচের শেষ হলো প্রথম দিন। দিন শেষে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ দল। শেষ বিকালে জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক আরভিনকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখলেন ডানহাতি অফস্পিনার নাঈম হাসান।

দিনের খেলা মাত্র ১০ বল বাকি থাকতেই নাঈম হাসানের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন আরভিন। ২২৭ বল মোকাবেলা করে তিনি সংগ্রহ করেন ১০৭ রান। বাউন্ডারির মার ছিল ১৩টি। প্রথম দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ালো ৯০ ওভারে ৬ উইকেচ হারিয়ে ২২৮ রান। রান তোলার গড় ছিল ২.৫৩ করে। একেবারে খাঁটি টেস্ট ইনিংস মনে হবে যেন এটাকে। ৯ রান নিয়ে উইকেটে রয়েছেন রেগিস চাকাভা এবং কোনো রান না নিয়ে ডোনাল্ড তিরিপানো।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অতি-সতর্কতার সঙ্গে শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের দুই পেসার আবু জায়েদ রাহী আর এবাদত হোসেন প্রথম ৪ ওভারই নেন মেডেন। পঞ্চম ওভারে ১ রান আসলেও সেটি ছিল ওয়াইড থেকে। ৫ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ছিল বিনা উইকেটে মাত্র ১। জিম্বাবুয়ের সেই ধৈর্যের বাঁধ শেষ পর্যন্ত ভাঙেন আবু জায়েদ রাহী। ইনিংসের অষ্টম ওভারে এসে আঘাত হানেন ডানহাতি এই পেসার। ২ রান করে গালিতে নাইম হাসানের ক্যাচ হন জিম্বাবুইয়ান ওপেনার কেভিন কাসুজা।

তবে ৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারালেও পরে সেই ধাক্কা দারুণভাবে কাটিয়ে ওঠে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন আর প্রিন্স মাসভরে ১১১ রানের জুটিতে দলকে ভালো অবস্থানে পৌঁছে দেন। তারপরই জোড়া আঘাত নাইমের। বাংলাদেশি বোলারদের রীতিমত ঘাম ঝরিয়ে ছাড়ছিলেন ক্রেইগ আরভিন আর প্রিন্স মাসভরে। শুরুর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ১১১ রানের বড় জুটি গড়ে ফেলেন তারা। কোনোকিছুতেই কিছু হচ্ছিল না, রান বাড়িয়েই যাচ্ছিলেন এই যুগল।

শেষতক চোখ রাঙানো এই শতরানের জুটিটি ভাঙেন নাইম হাসান। ইনিংসের ৪৯তম ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে হাফসেঞ্চুরিয়ান মাসভরেকে (৬৪) ফিরতি ক্যাচ বানান এই অফস্পিনার। পরের ওভারে এসে আবারও আঘাত। এবার নাইমকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ধরা ব্রেন্ডন টেলর। কপালটা খারাপই বলতে হবে এই ব্যাটসম্যানের। বল ব্যাটে লেগে দুই তিন ড্রপে স্ট্যাম্পে গিয়ে আঘাত হানে। ১০ রান করেন টেলর।

এরপর ২০ ওভারের আরও একটি জুটি ক্রেইগ আরভিন আর সিকান্দার রাজার। তারা মাত্র ২ গড়ে তুলেন ৪০ রান। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটিও ভাঙেন নাইম, রাজাকে (১৮) উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান তিনি। তারপরও ‘ধীরে চলো নীতি’ থেকে সরে আসেনি জিম্বাবুয়ে। পঞ্চম উইকেটে তিমিসেন মারুমাকে নিয়ে প্রায় ১০ ওভারের মতো কাটিয়ে দেন আরভিন। নতুন বল হাতে নেয়ার ঠিক আগের ওভারে মারুমাকে (৭) এলবিডব্লিউ করেন আবু জায়েদ রাহী।