সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আত্রাইয়ে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষ, ১৯-দিন পর আহত জেলের মৃত্যু

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:২৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ১৯২ Time View

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর আত্রাইয়ের নাগর নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ফজর আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছে। শনিবার ২২শে ফেব্রয়ারী ভোরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ফজর আলী উপজেলার বিশা ইউনিয়নের সাধনগর গ্রামের মৃত লছির উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাধনগর গ্রামের সাধনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির আওতায় প্রায় ১৬০টি মৎস্যজীবী পরিবার রয়েছে। এ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নাগর নদী। সেখানে মাছ শিকার করে মৎস্যজীবীরা জীবিকা নির্বাহ করেন। মৎস্যজীবীদের প্রভাবশালী কয়েকজন ওই নদীটি দখলে নিতে দীর্ঘদিন থেকে পাঁয়তারা করছিল। ইতিপূর্বে এ নিয়ে কয়েকবার দ্বন্দ্ব হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে নাগর নদীতে ওই সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে মাছ শিকারের জন্য সবাইকে অবগত করা হয়।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি নদীতে সবাই মাছ ধরা শুরু করলে প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ফজর আলীকে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। সে ঘটনায় চারজন আহত হয়। ফজর আলীকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ দিন পর শনিবার ভোরে তিনি মারা যান।

মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্য আব্দুল্লাহেল আল মামুন বলেন, এ সমিতির প্রভাবশালী আব্বাস আলী ও জান্নাতসহ অনেকে নদীতে মাছ ধরতে বিভিন্ন সময় আমাদের নিষেধ করতো। ঘটনার দিন আমরা নদীতে মাছ ধরতে গেলে প্রভাবশালীরা বহিরাগত কিছু লোক এনে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আহত ফজর আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ব্যাপারে আব্বাস আলী ও জান্নাতের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেম উদ্দিন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কয়েকদিন আগে নিহতের স্ত্রী বিবিজান বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন। লাশ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড বাস্তবায়ন দাবিতে ইউএনও অফিসে তালা দিলো জনতা

আত্রাইয়ে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষ, ১৯-দিন পর আহত জেলের মৃত্যু

Update Time : ১০:২৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর আত্রাইয়ের নাগর নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ফজর আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছে। শনিবার ২২শে ফেব্রয়ারী ভোরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ফজর আলী উপজেলার বিশা ইউনিয়নের সাধনগর গ্রামের মৃত লছির উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাধনগর গ্রামের সাধনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির আওতায় প্রায় ১৬০টি মৎস্যজীবী পরিবার রয়েছে। এ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নাগর নদী। সেখানে মাছ শিকার করে মৎস্যজীবীরা জীবিকা নির্বাহ করেন। মৎস্যজীবীদের প্রভাবশালী কয়েকজন ওই নদীটি দখলে নিতে দীর্ঘদিন থেকে পাঁয়তারা করছিল। ইতিপূর্বে এ নিয়ে কয়েকবার দ্বন্দ্ব হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে নাগর নদীতে ওই সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে মাছ শিকারের জন্য সবাইকে অবগত করা হয়।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি নদীতে সবাই মাছ ধরা শুরু করলে প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ফজর আলীকে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। সে ঘটনায় চারজন আহত হয়। ফজর আলীকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ দিন পর শনিবার ভোরে তিনি মারা যান।

মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্য আব্দুল্লাহেল আল মামুন বলেন, এ সমিতির প্রভাবশালী আব্বাস আলী ও জান্নাতসহ অনেকে নদীতে মাছ ধরতে বিভিন্ন সময় আমাদের নিষেধ করতো। ঘটনার দিন আমরা নদীতে মাছ ধরতে গেলে প্রভাবশালীরা বহিরাগত কিছু লোক এনে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আহত ফজর আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ব্যাপারে আব্বাস আলী ও জান্নাতের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেম উদ্দিন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কয়েকদিন আগে নিহতের স্ত্রী বিবিজান বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন। লাশ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।