
খোঁজ খবর রিপোর্ট: আগামীবছর থেকে পাল্টে যাচ্ছে প্রাথমিকের নিয়ম।সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির আগে বর্তমানে এক বছরের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু আছে। তবে সে নিয়ম পরিবর্তন হচ্ছে। চলতি বছর থেকে এ কার্যক্রম শুরু করা না গেলেও আগামী বছর থেকে চালু হচ্ছে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাক-প্রাথমিকে চার বছর বয়সে ভর্তি হতে হবে। এই শ্রেণির নাম হবে ‘শিশু শ্রেণি’। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেলে আগামী বছর দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মোট পাঁচ হাজার বিদ্যালয়ে চালু করা হবে এই শিশু শ্রেণি। এরপর ২০২২ সালের মধ্যে সব স্কুলে তা কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো সারসংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে একটি করে নতুন শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করতে হবে। শ্রেণিকক্ষ চার বছর বয়সী শিশুদের উপযোগী হতে হবে। সব বিদ্যালয়েই অতিরিক্ত একজন করে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। কোমলমতি শিশুদের দেখভাল করার জন্য নিয়োগ করতে হবে একজন করে যত্নকারী।
সারসংক্ষেপে আরো বলা হয়েছে, ২০১০ সাল থেকে সীমিত আকারে এবং ২০১৩ সাল থেকে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমেছে। ২০১৩ সালে ঝরে পড়ার হার ছিল ৩৯.৫ শতাংশ, যা ২০১৯ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১৭.৯ শতাংশ।
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুর পর প্রথম শ্রেণিতে নিট ভর্তির হার, শিক্ষাচক্র সমাপনীর হার, উপস্থিতির হার, সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে। অন্যদিকে অনুপস্থিতির হার, পুনরাবৃত্তির হার কমেছে।
বিভিন্ন দেশের উদাহরণ তুলে ধরে সারসংক্ষেপে বলা হয়, এশিয়ার মধ্যে জাপান, কোরিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর ও ভারতে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছর মেয়াদি। ইউনেসকোর ২০১৬ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা উন্নত বিশ্বের দেশসহ ১০ শতাংশ দেশে তিন বছর মেয়াদি এবং ৪৯ শতাংশ দেশে দুই বছর মেয়াদি। আমাদের দেশেরও বেসরকারি উদ্যোগে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রসার ঘটছে। এসব স্কুলেও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দুই থেকে তিন বছর মেয়াদি।