সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রৌমারীতে বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষক

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২০২ Time View

রৌমারী প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় বোরো ধান লাগানোর মৌসুম চলছে। আর তাই শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করেই ইরি-বোরো লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা ও বাজারে কৃষি উপকরণ (সার, ডিজেল ও কীটনাশক) সমস্যা না হলে ইরি-বোরো আবাদে তেমন সমস্যা হবে
না। তবে ধানের দাম বাড়ানোর দিকে সরকারের সুদৃষ্টি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।

মাঘের হাড় কাপানো শীতকে উপেক্ষা করে ফসল ফলানোর তাগিদে কৃষক হাতপা গুটিয়ে বসে নেই। আমন মৌসুমের পর পরই ইরি-বোরো মৌসুম। এতে ভারতের আসাম রাজ্যের পাদদেশ ঘেষা সীমান্তবর্তী অঞ্চল রৌমারী ও রাজীবপুর। প্রাকৃতিক ভাবে আবহাওয়া অনুকুলে না থাকলে, আগাম ঝড়-বৃষ্টি হলে অতিসহজেই এ অঞ্চলে ভারতীয় পাহাড়ী ঢলের তোড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এই অঞ্চলের কৃষকরা আগাম ইরি-বোরো চাষে মনোনিবেশ করে থাকে।

রৌমারী উপজেলা নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল। এখানকার মানুষ একমাত্র কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানে নেই শিল্প কারখানা। তবে কৃষি জমি গুলোতে ভালো ফসল হয়। এখানে ইরি-বোরো পাশাপাশি সরিষা, গম, আখ, বাদাম, কাউন, চিনা, তিল, তিশি নানা জাতের ফসল ফলে। তবে এখানে পর্যাপ্ত পরিমান ইরি-বোরো উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত ফসল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে হাজার হাজার টন খাদ্যশস্য দেশের বড় বড় শহরে রপ্তানি করা হয়।

রৌমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে রৌমারীতে সারে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতবছর প্রবল বন্যা হওয়ায় জমিতে কিছুটা পলিমাটি ও ময়লা আবর্জনা পচেঁ জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাওযায় ভাল ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

MD ZANNATUL FERDOUSH

NEWS PURPOSE

গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড বাস্তবায়ন দাবিতে ইউএনও অফিসে তালা দিলো জনতা

রৌমারীতে বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষক

Update Time : ০৯:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০

রৌমারী প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় বোরো ধান লাগানোর মৌসুম চলছে। আর তাই শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করেই ইরি-বোরো লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা ও বাজারে কৃষি উপকরণ (সার, ডিজেল ও কীটনাশক) সমস্যা না হলে ইরি-বোরো আবাদে তেমন সমস্যা হবে
না। তবে ধানের দাম বাড়ানোর দিকে সরকারের সুদৃষ্টি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।

মাঘের হাড় কাপানো শীতকে উপেক্ষা করে ফসল ফলানোর তাগিদে কৃষক হাতপা গুটিয়ে বসে নেই। আমন মৌসুমের পর পরই ইরি-বোরো মৌসুম। এতে ভারতের আসাম রাজ্যের পাদদেশ ঘেষা সীমান্তবর্তী অঞ্চল রৌমারী ও রাজীবপুর। প্রাকৃতিক ভাবে আবহাওয়া অনুকুলে না থাকলে, আগাম ঝড়-বৃষ্টি হলে অতিসহজেই এ অঞ্চলে ভারতীয় পাহাড়ী ঢলের তোড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এই অঞ্চলের কৃষকরা আগাম ইরি-বোরো চাষে মনোনিবেশ করে থাকে।

রৌমারী উপজেলা নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল। এখানকার মানুষ একমাত্র কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানে নেই শিল্প কারখানা। তবে কৃষি জমি গুলোতে ভালো ফসল হয়। এখানে ইরি-বোরো পাশাপাশি সরিষা, গম, আখ, বাদাম, কাউন, চিনা, তিল, তিশি নানা জাতের ফসল ফলে। তবে এখানে পর্যাপ্ত পরিমান ইরি-বোরো উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত ফসল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে হাজার হাজার টন খাদ্যশস্য দেশের বড় বড় শহরে রপ্তানি করা হয়।

রৌমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে রৌমারীতে সারে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতবছর প্রবল বন্যা হওয়ায় জমিতে কিছুটা পলিমাটি ও ময়লা আবর্জনা পচেঁ জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাওযায় ভাল ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।