মঙ্গলবার (৪ফেব্রুয়ারী) সকালে এ ঘটনায় নিহতের ভাই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬জনকে আসামি করে নিয়ামতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। তবে ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্ৰেফতার করতে পারেনি পুলিশ ।
নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, গত শনিবার সকালে নারগিসের শাশুড়ীকে চাল দেয়াকে কেন্দ্র করে বউ শাশুড়ীর মধ্যে সামান্য ঝগড়া হয় । এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন রাতে শাশুড়ীর মেয়ে জামাই এবং অন্য ছেলেরা শাশুড়ীর পক্ষ নিয়ে তাকে ও তার স্বামীকে বেদম মারপিট করে। এতে নারগিস গুরুত্বর আহত এবং স্বামীর ডান হাত ভেঙ্গে গুরুত্বর জখম হলে প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয় । নার্গিসের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নেওয়া হয় । রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নার্গিস তার বাবাকে দেখার ইচ্ছা করেন । অসুস্থ অবস্থায় সোমবার সকালে বাড়ি নিয়ে আসার পথে মারা যান।
তিনি বলেন, নার্গিসের মৃতদেহ বাবার বাড়ি মান্দা উপজেলার গনেশপুর গ্রামে রয়েছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখে এসেছে। ময়নাতদন্তের জন্য আজ মঙ্গলবার নওগাঁ মর্গে পাঠানো হবে। ঘটনার পর আসামিরা পলাতক রয়েছে।